ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগরদোলা দুর্ঘটনা-আহত ৩

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ঝালকাঠি শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে চলছে ১৫ দিন ব্যাপী রুপসীবাংলা মেলা। শনিবার মেলার নবম দিন নাগরদোলা দুর্ঘটনার নারী ও শিশুসহ ৩জন গুরুতর আহত হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শারমীন আক্তার, লামিয়া মৌ, সিরাজ উদ্দিন, মাইনুল ইসলাম জানান, ‘রাত তখন পৌনে ১০টা। মেলার মাঠের পশ্চিম দিকে চলতে থাকা নাগর দোলাটির গতি হটাৎ বেড়ে যায়। আর তখনই ছয়টি বক্সের দুটি বক্স একটির সথে আরেকটি লেগে যায়। এতে প্রায় ৩০ ফুট উপর থেকে ছিটকে মাটিতে পরে গিয়ে রক্তাক্ত আহত হয় তিনজন।’

আহতরা হলো ঝালকাঠি পৌর এলাকার পুরাতন কলাবাগান এলাকার মিন্টু হাওলাদারের ১৩ বছর বয়সী পুত্র নাইম হাওলাদার, সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের কালী আন্দার গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের স্ত্রী ৩৫ বছর বয়সী নারী মোসাম্মৎ পুতুল বেগম এবং রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালি গ্রামের ইউনুস হাওলাদারের ছেলে ৩৩ বছর বয়সী মো. ইদ্রিস আলী হাওলাদার।

মেলার মাঠ থেকে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে পুতুল ও ইদ্রিসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) প্রেরণ করে দেয় চিকিৎসকরা।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ঐ সময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবীন কুন্ডু বলেন, ‘তিন জনই গুরুতর। ছোট শিশুটির মুখমন্ডলের নিচের অংশ ফেটে গিয়ে বেশ রক্ত ঝরেছে। নারীর শরীরে যন্ত্রনা হচ্ছিলো তার ব্লাড পেসার ডাউন হয়ে গেছে আর ইদ্রিস নামের আহত ব্যক্তির পায়ে জখম হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা দুজনকে দ্রুত বরিশাল পাঠিয়েছি।’

এদিকে দুর্ঘটনার পর নাগরদোলা ও মেলা কর্তৃপক্ষ কেউই উদ্ধার কাজ বা হাসপাতালে আসেননি এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে আহতদের খোঁজ নিতে রাতেই হাসপাতালে আসেন জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম এবং সিভিল সার্জন এইচ.এম জহিরুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গনমাধ্যাম কর্মীদেরকে দেয়া ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়, ‘এমন দুর্ঘটনার বিষয়টি অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি।’

তবে বিষয়টি মেলা কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অকেই ক্ষোভ জানিয়েছেন। এ মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য সনাতন পদ্ধতিতে স্যালো ইন্জিন দিয়ে দুটি নৌকা এবং একটি নাগরদোলা চালানো হচ্ছিলো যা খুবই ঝুকিপুর্ন বলেও জানিয়েছেন মেলায় আসা দর্শক নান্টু হাওলাদার।

খুলনার চামেলী ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া পক্ষকাল ব্যাপী মেলাটি আগামী ১০ মার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
০১৭১৩৯৬৩৬৭৫

কাঠালিয়া উপজেলাকে স্মর্ট উপজেলা করা হবে-কিবরিয়া সিকদার

নাগরদোলা দুর্ঘটনা-আহত ৩

আপডেট সময় ০৪:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ঝালকাঠি শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে চলছে ১৫ দিন ব্যাপী রুপসীবাংলা মেলা। শনিবার মেলার নবম দিন নাগরদোলা দুর্ঘটনার নারী ও শিশুসহ ৩জন গুরুতর আহত হয়েছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শারমীন আক্তার, লামিয়া মৌ, সিরাজ উদ্দিন, মাইনুল ইসলাম জানান, ‘রাত তখন পৌনে ১০টা। মেলার মাঠের পশ্চিম দিকে চলতে থাকা নাগর দোলাটির গতি হটাৎ বেড়ে যায়। আর তখনই ছয়টি বক্সের দুটি বক্স একটির সথে আরেকটি লেগে যায়। এতে প্রায় ৩০ ফুট উপর থেকে ছিটকে মাটিতে পরে গিয়ে রক্তাক্ত আহত হয় তিনজন।’

আহতরা হলো ঝালকাঠি পৌর এলাকার পুরাতন কলাবাগান এলাকার মিন্টু হাওলাদারের ১৩ বছর বয়সী পুত্র নাইম হাওলাদার, সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের কালী আন্দার গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের স্ত্রী ৩৫ বছর বয়সী নারী মোসাম্মৎ পুতুল বেগম এবং রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালি গ্রামের ইউনুস হাওলাদারের ছেলে ৩৩ বছর বয়সী মো. ইদ্রিস আলী হাওলাদার।

মেলার মাঠ থেকে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে পুতুল ও ইদ্রিসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) প্রেরণ করে দেয় চিকিৎসকরা।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ঐ সময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবীন কুন্ডু বলেন, ‘তিন জনই গুরুতর। ছোট শিশুটির মুখমন্ডলের নিচের অংশ ফেটে গিয়ে বেশ রক্ত ঝরেছে। নারীর শরীরে যন্ত্রনা হচ্ছিলো তার ব্লাড পেসার ডাউন হয়ে গেছে আর ইদ্রিস নামের আহত ব্যক্তির পায়ে জখম হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা দুজনকে দ্রুত বরিশাল পাঠিয়েছি।’

এদিকে দুর্ঘটনার পর নাগরদোলা ও মেলা কর্তৃপক্ষ কেউই উদ্ধার কাজ বা হাসপাতালে আসেননি এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে আহতদের খোঁজ নিতে রাতেই হাসপাতালে আসেন জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম এবং সিভিল সার্জন এইচ.এম জহিরুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গনমাধ্যাম কর্মীদেরকে দেয়া ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়, ‘এমন দুর্ঘটনার বিষয়টি অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি।’

তবে বিষয়টি মেলা কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অকেই ক্ষোভ জানিয়েছেন। এ মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য সনাতন পদ্ধতিতে স্যালো ইন্জিন দিয়ে দুটি নৌকা এবং একটি নাগরদোলা চালানো হচ্ছিলো যা খুবই ঝুকিপুর্ন বলেও জানিয়েছেন মেলায় আসা দর্শক নান্টু হাওলাদার।

খুলনার চামেলী ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া পক্ষকাল ব্যাপী মেলাটি আগামী ১০ মার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
০১৭১৩৯৬৩৬৭৫