ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও ক্যাডার পরিচয় দেন তিনি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি,

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (বিসিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও নিজেকে বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ডা: মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট, ২০১৯ সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর সুপারিশে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। পদোন্নতি পাওয়ার পর মানিকগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লুৎফর রহমান। সেসময় থেকেই বিভিন্ন জায়গায় মৌখিকভাবে নিজেকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে পরিচয় দেন তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডা: মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি। তবে প্রমোশন পেয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হয়েছেন এবং তার বেতনকাঠামো বিসিএস ক্যাডারের সমমান হয়েছে। যেহেতু প্রমোশনের মাধ্যমে তার বেতনকাঠামো বিসিএস ক্যাডারের সমমান হয়েছে তাই এটাকে ইনক্যাডারমেন্ট বলে।

কততম বিসিএস ক্যাডার জানতে চাইলে ডা: মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বিষয়টির উত্তর এড়িয়ে বলেন, আমি ২০১০ সালে পাশ করেছি। ২০২২ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমাকে বিসিএস এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আমার মতো আরো অনেকের নামই আছে। তবে প্রজ্ঞাপনের কপি চাইলে মোবাইল ফোনে একটি প্রজ্ঞাপনের ছবি দেখালেও সেটা দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বিদ্যমান ২০২২ সালের প্রজ্ঞাপনে ডা: মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের নাম পাওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও ক্যাডার পরিচয় দেন তিনি

আপডেট সময় ১০:২৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি,

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (বিসিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও নিজেকে বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ডা: মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট, ২০১৯ সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর প্রভাবশালী এক মন্ত্রীর সুপারিশে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি। পদোন্নতি পাওয়ার পর মানিকগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন লুৎফর রহমান। সেসময় থেকেই বিভিন্ন জায়গায় মৌখিকভাবে নিজেকে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে পরিচয় দেন তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডা: মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি। তবে প্রমোশন পেয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হয়েছেন এবং তার বেতনকাঠামো বিসিএস ক্যাডারের সমমান হয়েছে। যেহেতু প্রমোশনের মাধ্যমে তার বেতনকাঠামো বিসিএস ক্যাডারের সমমান হয়েছে তাই এটাকে ইনক্যাডারমেন্ট বলে।

কততম বিসিএস ক্যাডার জানতে চাইলে ডা: মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বিষয়টির উত্তর এড়িয়ে বলেন, আমি ২০১০ সালে পাশ করেছি। ২০২২ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আমাকে বিসিএস এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আমার মতো আরো অনেকের নামই আছে। তবে প্রজ্ঞাপনের কপি চাইলে মোবাইল ফোনে একটি প্রজ্ঞাপনের ছবি দেখালেও সেটা দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বিদ্যমান ২০২২ সালের প্রজ্ঞাপনে ডা: মোহাম্মদ লুৎফর রহমানের নাম পাওয়া যায়নি।