টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় ডাকাতিকালে যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া তিনটি মোবাইলও জব্দ করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার রাজা মিয়া কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, মধুপুরে বাসে গণধর্ষণ ও ডাকাতি ঘটনার পর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। এরই অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার ভোরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় তাকে তার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঈগল পরিবহনের যে বাসটি ডাকাতের কবলে পড়ে, সেই বাসের চালককে সরিয়ে দিয়ে রাজা চালকের সিট দখল করে। গণধর্ষণ ও ডাকাতির সময়ে রাজা বাসটি চালাচ্ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় কে কে জড়িত ছিলো রাজা পুলিশকে জানিয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোড় চেষ্ট চলছে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪ থেকে ২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে একদল ডাকাত যাত্রীবেসে ওই বাসে ওঠে।
বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ডাকাত দলটি অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের বেঁধে ফেলে। এ সময় দলটি বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। এক পর্যায়ে তারা বাসযাত্রী এক নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাসটি বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে তিন ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পরে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির স্তুপে বাসটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বাসের এক নারী যাত্রী বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মধুপুর থানায় ধর্ষণ ও ডাকাতির মামলা দায়ের করেন।