ঢাকা ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫-১০ হাজার টাকায় ভোটারদের মাথা বিক্রি হয়ে গেছে: মমতাজ বেগম

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের খুর-কেচি মার্কা আওয়ামী লীগ নেতা দাবী করে ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা আপনাদের বেচা শেষ। প্রতি মাথা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় আর বড় বড় নেতা হলে লাখ বা লাখের উপরে তাদের মাথা বিক্রি হয়ে গেছে। এগুলো দুই চারজন নেতার কাছ থেকে কিনেছে বলে মন্তব্য করেছেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনিত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম।

বুধবার (২০ জানুয়ারী) বিকেলে তার নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার লেমুবাড়ী বিনোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, নৌকা মার্কা আওয়ামী লীগের মার্কা, নৌকা মার্কা শেখ হাসিনার মার্কা, নৌকা মার্কা এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের মার্কা। সেই মার্কা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দিয়েছেন। এই যে নৌকার বাইরে তারা (স্বতন্ত্র প্রার্থীরা) মার্কা নিয়ে আসলো, অমুক তমুক মার্কা, খুর-কেচি মার্কা, আপনারা কি নৌকা বাদ দিয়ে এসব মার্কায় ভোট দিবেন?

নিজেকে সৎ ও পরিশ্রমী উল্লেখ করে মমতাজ বেগম বলেন, আমি অনেক দিন ধরেই শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করতেছি, সেখান থেকে কোন পার্সেন্টেস খাইনা। যে কারণে আশপাশের দু-চারজন নেতার খুব বেকায়দা হয়। আমি না খাইলে অন্যরাও খাইতে পারেনা, খুব কষ্ট হয় তাদের আমার সাথে চলতে। এজন্য দু-চারজন আমাকে প্রভাবিত করার অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্ত আমাকে দিয়ে দুই নম্বরি কাজ করাইতে পারেনাই। আমাকে দিয়ে টিআর-কাবিখা খাওয়াইতে পারেনাই, আমাকে দিয়ে চাকরি দিয়ে পয়সা খাওয়াইতে পারেনাই। এজন্য কিছু লোক বেজার হয়ে মনে করেছে অন্য কোন পয়সাওয়ালা লোকের পেছনে যাই। তাহলে সেখান থেকেও পয়সা পাবো, আবার দালালি করেও পয়সা কামাতে পারবো। এই ধান্দা করে আমাদের মধ্য থেকে এক দল গ্রুপিং করে চলে গেছে। তাদের এই ধান্দা এখন সারাদেশের মানুষ সেটা বুঝতে পারছে।

নৌকা মার্কায় ভোট দিলে আগামীতে কোন জায়গায় রাস্তাঘাট ও ব্রীজের অভাব হবেনা জানিয়ে মমতাজ বেগম বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানালে নিশ্চয় তিনি আপনাদের ভুলে যাবে না, আমার মাধ্যমে আপনাদের ঘরে ঘরে রাস্তার ব্যবস্থা করে দিবে। কারণ বড় বড় কাজ তো তেমন বাকি নাই। ছোট খাটো রাস্তা ঘাট ও কাজ বাকি আছে। এসব ছোটখাটো কাজ আমরাই করতে পারবো। আপনারা ভোট দিয়ে নৌকা মার্কার এমপি বানালে আগামীতে কোন জায়গায় রাস্তাঘাট ও ব্রীজের অভাব হবেনা।

গত ১০ বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম বলেন, আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছি। যেসব এলাকায় নদী ভাঙে সেসব এলাকার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করেছি। শেখ হাসিনাকে কেন ভোট দিবেন এমন প্রশ্ন করলে সেই প্রশ্নের উত্তরের অভাব এখন আর নাই। কারণ এত পরিমাণ কাজ করেছি যে উন্নয়নের ধারাকে ঠিক রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প এদেশে নাই।

এ সময় মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো: রমজান আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুর রহমান জনি পুটাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহিদুর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

৫-১০ হাজার টাকায় ভোটারদের মাথা বিক্রি হয়ে গেছে: মমতাজ বেগম

আপডেট সময় ১১:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের খুর-কেচি মার্কা আওয়ামী লীগ নেতা দাবী করে ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা আপনাদের বেচা শেষ। প্রতি মাথা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় আর বড় বড় নেতা হলে লাখ বা লাখের উপরে তাদের মাথা বিক্রি হয়ে গেছে। এগুলো দুই চারজন নেতার কাছ থেকে কিনেছে বলে মন্তব্য করেছেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনিত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম।

বুধবার (২০ জানুয়ারী) বিকেলে তার নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার লেমুবাড়ী বিনোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, নৌকা মার্কা আওয়ামী লীগের মার্কা, নৌকা মার্কা শেখ হাসিনার মার্কা, নৌকা মার্কা এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের মার্কা। সেই মার্কা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দিয়েছেন। এই যে নৌকার বাইরে তারা (স্বতন্ত্র প্রার্থীরা) মার্কা নিয়ে আসলো, অমুক তমুক মার্কা, খুর-কেচি মার্কা, আপনারা কি নৌকা বাদ দিয়ে এসব মার্কায় ভোট দিবেন?

নিজেকে সৎ ও পরিশ্রমী উল্লেখ করে মমতাজ বেগম বলেন, আমি অনেক দিন ধরেই শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করতেছি, সেখান থেকে কোন পার্সেন্টেস খাইনা। যে কারণে আশপাশের দু-চারজন নেতার খুব বেকায়দা হয়। আমি না খাইলে অন্যরাও খাইতে পারেনা, খুব কষ্ট হয় তাদের আমার সাথে চলতে। এজন্য দু-চারজন আমাকে প্রভাবিত করার অনেক চেষ্টা করেছে, কিন্ত আমাকে দিয়ে দুই নম্বরি কাজ করাইতে পারেনাই। আমাকে দিয়ে টিআর-কাবিখা খাওয়াইতে পারেনাই, আমাকে দিয়ে চাকরি দিয়ে পয়সা খাওয়াইতে পারেনাই। এজন্য কিছু লোক বেজার হয়ে মনে করেছে অন্য কোন পয়সাওয়ালা লোকের পেছনে যাই। তাহলে সেখান থেকেও পয়সা পাবো, আবার দালালি করেও পয়সা কামাতে পারবো। এই ধান্দা করে আমাদের মধ্য থেকে এক দল গ্রুপিং করে চলে গেছে। তাদের এই ধান্দা এখন সারাদেশের মানুষ সেটা বুঝতে পারছে।

নৌকা মার্কায় ভোট দিলে আগামীতে কোন জায়গায় রাস্তাঘাট ও ব্রীজের অভাব হবেনা জানিয়ে মমতাজ বেগম বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানালে নিশ্চয় তিনি আপনাদের ভুলে যাবে না, আমার মাধ্যমে আপনাদের ঘরে ঘরে রাস্তার ব্যবস্থা করে দিবে। কারণ বড় বড় কাজ তো তেমন বাকি নাই। ছোট খাটো রাস্তা ঘাট ও কাজ বাকি আছে। এসব ছোটখাটো কাজ আমরাই করতে পারবো। আপনারা ভোট দিয়ে নৌকা মার্কার এমপি বানালে আগামীতে কোন জায়গায় রাস্তাঘাট ও ব্রীজের অভাব হবেনা।

গত ১০ বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম বলেন, আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছি। যেসব এলাকায় নদী ভাঙে সেসব এলাকার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করেছি। শেখ হাসিনাকে কেন ভোট দিবেন এমন প্রশ্ন করলে সেই প্রশ্নের উত্তরের অভাব এখন আর নাই। কারণ এত পরিমাণ কাজ করেছি যে উন্নয়নের ধারাকে ঠিক রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প এদেশে নাই।

এ সময় মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো: রমজান আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুর রহমান জনি পুটাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহিদুর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।