ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জের সাত ওসি মানিকগঞ্জেই বদলি, প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:২৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি,

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে পুলিশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশের ৩৩৮ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির আদেশপ্রাপ্ত এসব ওসিদের অধিকাংশই একই জেলাতে শুধুমাত্র ভিন্ন থানায় বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এরমধ্যে মানিকগঞ্জের সাত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও (ওসি) রয়েছেন। প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার ওসি শাহ নূর এ আলমকে হরিরামপুর থানায়, ঘিওর থানার ওসি মো: আমিনুর রহমানকে সিংগাইর থানায়, দৌলতপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোল্যাকে সাটুরিয়া থানায়, সিংগাইর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলামকে মানিকগঞ্জ সদর থানায়, হরিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার আদিত্যকে দৌলতপুর থানায়, মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি মো: আব্দুর রউফ সরকারকে শিবালয় থানায় এবং সাটুরিয়া থানার সুকুমার বিশ্বাসকে ঘিওর থানায় বদলি করা হয়।

একই জেলার ভিন্ন থানায় ওসিদের বদলির আদেশের পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

মানিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে প্রশাসনের লোকজনকে বদলি না করেও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারতেন। যাদেরকে বদলি করা হলো তারা চাইলে অল্প সময়ের মধ্যেই তো যোগাযোগ করে প্রভাবিত হতে পারবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন যেহেতু এই পদক্ষেপ নিয়েছে, তাই এটাকে খারাপভাবে দেখার সুযোগ নেই। এটা অবশ্যই একটা ভালো উদ্যোগ।

ওসিদের একই জেলায় বদলির বিষয়ে গণফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম খান কামাল বলেন, একই জেলার ভিন্ন থানায় ওসিদের বদলির বিষয়টি ফেয়ার হয়নি, এটা সম্পূর্ণ লোক দেখানো। বদলি যেহেতু করলোই, তাহলে আরেকটু ভালোভাবে করতে পারতো।

মানিকগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী (বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিলের পর আপীলকারী) এ্যাডভোকেট হাসান সাইদ বলেন, এটা এক ধরনের মগজধোলাই। এক জেলার ভিন্ন থানায় বদলি তেমন ফলপ্রসু হবেনা। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় বদলি করলে হয়তো কিছুটা কাজে আসতো।

মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, নির্বাচন যাতে ভালো হয় নির্বাচন কমিশন সেটাই করেছে। এটা নির্বাচন কমিশনের একটা প্রক্রিয়া। যেহেতু জেলার মধ্যেই বদলি হয়েছে, তাই অতটা সমস্যা হবে না।

মানিকগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ বলেন, একই জেলায় বদলির ফলে প্রভাবিত হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

এ বিষয়ে সুশানের জন্য নাগরিক ( সুজন) এর মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, ইলেকশন কমিশন যে উদ্দেশ্যে এই বদলি করেছে, জেলার অভ্যন্তরে বদলির ফলে সেই লক্ষ্যের বাস্তবায়ন হবেনা।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

মানিকগঞ্জের সাত ওসি মানিকগঞ্জেই বদলি, প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় ০৮:২৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি,

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে পুলিশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশের ৩৩৮ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বদলির আদেশপ্রাপ্ত এসব ওসিদের অধিকাংশই একই জেলাতে শুধুমাত্র ভিন্ন থানায় বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এরমধ্যে মানিকগঞ্জের সাত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও (ওসি) রয়েছেন। প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার ওসি শাহ নূর এ আলমকে হরিরামপুর থানায়, ঘিওর থানার ওসি মো: আমিনুর রহমানকে সিংগাইর থানায়, দৌলতপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোল্যাকে সাটুরিয়া থানায়, সিংগাইর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলামকে মানিকগঞ্জ সদর থানায়, হরিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার আদিত্যকে দৌলতপুর থানায়, মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি মো: আব্দুর রউফ সরকারকে শিবালয় থানায় এবং সাটুরিয়া থানার সুকুমার বিশ্বাসকে ঘিওর থানায় বদলি করা হয়।

একই জেলার ভিন্ন থানায় ওসিদের বদলির আদেশের পর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

মানিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে প্রশাসনের লোকজনকে বদলি না করেও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারতেন। যাদেরকে বদলি করা হলো তারা চাইলে অল্প সময়ের মধ্যেই তো যোগাযোগ করে প্রভাবিত হতে পারবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন যেহেতু এই পদক্ষেপ নিয়েছে, তাই এটাকে খারাপভাবে দেখার সুযোগ নেই। এটা অবশ্যই একটা ভালো উদ্যোগ।

ওসিদের একই জেলায় বদলির বিষয়ে গণফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম খান কামাল বলেন, একই জেলার ভিন্ন থানায় ওসিদের বদলির বিষয়টি ফেয়ার হয়নি, এটা সম্পূর্ণ লোক দেখানো। বদলি যেহেতু করলোই, তাহলে আরেকটু ভালোভাবে করতে পারতো।

মানিকগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী (বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিলের পর আপীলকারী) এ্যাডভোকেট হাসান সাইদ বলেন, এটা এক ধরনের মগজধোলাই। এক জেলার ভিন্ন থানায় বদলি তেমন ফলপ্রসু হবেনা। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় বদলি করলে হয়তো কিছুটা কাজে আসতো।

মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, নির্বাচন যাতে ভালো হয় নির্বাচন কমিশন সেটাই করেছে। এটা নির্বাচন কমিশনের একটা প্রক্রিয়া। যেহেতু জেলার মধ্যেই বদলি হয়েছে, তাই অতটা সমস্যা হবে না।

মানিকগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ বলেন, একই জেলায় বদলির ফলে প্রভাবিত হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

এ বিষয়ে সুশানের জন্য নাগরিক ( সুজন) এর মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, ইলেকশন কমিশন যে উদ্দেশ্যে এই বদলি করেছে, জেলার অভ্যন্তরে বদলির ফলে সেই লক্ষ্যের বাস্তবায়ন হবেনা।