ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামীলীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না-সাবেক সাংসদ খৈয়ম

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে

তাইফুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম।

গতকাল ২৭শে নভেম্বর রাতে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বেশ কিছুদিন ধরে নানা মহলের অপপ্রচার ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি না এলেও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম তৃণমূল বিএনপি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে রাজবাড়ী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ধরনের গুঞ্জনের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেন তিনি।

আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, জনগণের চাওয়া-পাওয়া উপেক্ষা করে বর্তমান সরকার আবারো ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ভূয়া নির্বাচন আয়োজন করেছে। তাদের হীনচক্রান্ত থেকে দেশ ও দেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার রক্ষার্থে সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। সরকার সিংহাসন পতনের আতংকে ভূয়া নির্বাচনের নতুন নাটক উদ্ভাবন করেছে। ২০১৪ সালের বিনা ভোটে অটোপাস এবং ২০১৮ সালের নিশিরাতে সীল মারার উৎসবের পরিবর্তে দেশী-বিদেশীদের আইওয়াস করতে এবার নিজেরা নিজেরা লোক দেখানো প্রতিযোগিতা করে- তৈরী করা হচ্ছে একটি নীলনকশার নির্বাচনী প্রক্রিয়া। ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে যেন এ রকম- তারা নিজেরা নিজেরাই অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক প্রমাণের এক প্রতারণার নাটক মঞ্চস্থ করছে। আসন্ন নির্বাচনের ফর্মূলাকে সরকার পরিবর্তনের ভোট না বলে দলীয় কাউন্সিল বলা যেতে পারে। সরকার সারা পৃথিবীর মানুষকে বোকা বানাতে চায়। তবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আর আন্তর্জাতিক মহলকে এই হাস্যকর সাজানো নাটক দিয়ে নয়ছয় বুঝানো সম্ভব নয়।

আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম আরো বলেন, এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমি কোন চাপ বা প্রলোভনের কাছে মাথা নত করবো না। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পদত্যাগ না করলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এবং আমারও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ গ্রহণের প্রশ্নই ওঠে না।

তিনি বলেন, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির কয়েক শত নেতাকর্মী মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় কারাগারে রয়েছে। দেশের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিপুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্বেও এই পাতানো নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করবো না। প্রহসনের এই নির্বাচন ইতিহাসে এবারও আরেকটি ঘৃনিত অধ্যায় হিসেবে যুক্ত হবে।

তিনি অবিলম্বে আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃ প্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা, তারেক রহমানের দন্ড প্রত্যাহার এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে দলের ঘোষিত কর্মসূচি পালনে নেতাকর্মী ও দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহবান জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

আওয়ামীলীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না-সাবেক সাংসদ খৈয়ম

আপডেট সময় ০৪:০৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

তাইফুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম।

গতকাল ২৭শে নভেম্বর রাতে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বেশ কিছুদিন ধরে নানা মহলের অপপ্রচার ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি না এলেও রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম তৃণমূল বিএনপি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে রাজবাড়ী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ধরনের গুঞ্জনের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেন তিনি।

আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, জনগণের চাওয়া-পাওয়া উপেক্ষা করে বর্তমান সরকার আবারো ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো ভূয়া নির্বাচন আয়োজন করেছে। তাদের হীনচক্রান্ত থেকে দেশ ও দেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার রক্ষার্থে সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। সরকার সিংহাসন পতনের আতংকে ভূয়া নির্বাচনের নতুন নাটক উদ্ভাবন করেছে। ২০১৪ সালের বিনা ভোটে অটোপাস এবং ২০১৮ সালের নিশিরাতে সীল মারার উৎসবের পরিবর্তে দেশী-বিদেশীদের আইওয়াস করতে এবার নিজেরা নিজেরা লোক দেখানো প্রতিযোগিতা করে- তৈরী করা হচ্ছে একটি নীলনকশার নির্বাচনী প্রক্রিয়া। ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে যেন এ রকম- তারা নিজেরা নিজেরাই অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক প্রমাণের এক প্রতারণার নাটক মঞ্চস্থ করছে। আসন্ন নির্বাচনের ফর্মূলাকে সরকার পরিবর্তনের ভোট না বলে দলীয় কাউন্সিল বলা যেতে পারে। সরকার সারা পৃথিবীর মানুষকে বোকা বানাতে চায়। তবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আর আন্তর্জাতিক মহলকে এই হাস্যকর সাজানো নাটক দিয়ে নয়ছয় বুঝানো সম্ভব নয়।

আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম আরো বলেন, এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমি কোন চাপ বা প্রলোভনের কাছে মাথা নত করবো না। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পদত্যাগ না করলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এবং আমারও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ গ্রহণের প্রশ্নই ওঠে না।

তিনি বলেন, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির কয়েক শত নেতাকর্মী মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় কারাগারে রয়েছে। দেশের সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিপুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্বেও এই পাতানো নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করবো না। প্রহসনের এই নির্বাচন ইতিহাসে এবারও আরেকটি ঘৃনিত অধ্যায় হিসেবে যুক্ত হবে।

তিনি অবিলম্বে আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃ প্রতিষ্ঠা, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা, তারেক রহমানের দন্ড প্রত্যাহার এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তিসহ এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে দলের ঘোষিত কর্মসূচি পালনে নেতাকর্মী ও দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহবান জানান।