ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে ডিবি পরিচয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নেয় ৩ ফুটের মফিজ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ীতে ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবির অভিযোগে মো. শামসুর রহমান মফিজ (২৮) নামে ৩ ফুট উচ্চতার এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মফিজ পাংশা উপজেলার চর ঝিকড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. হারেজ মিয়ার ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২১ নভেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে মফিজ সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তিকে ফোন করে নিজেকে গুলশান ডিবি ঢাকার একজন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাকে জানান, তার নামে অজ্ঞাত মার্ডার মামলা হয়েছে। মামলা থেকে রক্ষা পেতে হলে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে মামলাটি গুলশান থানা থেকে পাংশা থানায় ট্রান্সফার করা হবে।

সোহেল রানা টাকা না দেয়ায় মফিজ অন্য একটি মোবাইল নম্বর থেকে তাকে ফোন করে পাংশা থানার অফিসার পরিচয় দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে আবারও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর পাংশা থানা পুলিশ মফিজকে কৌশলে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে মফিজ প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার আরও বলেন, মফিজের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর থানায় প্রতারণার মামলা আছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজেকে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহেল রানা বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

রাজবাড়ীতে ডিবি পরিচয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নেয় ৩ ফুটের মফিজ

আপডেট সময় ০৩:৩২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

রাজবাড়ীতে ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবির অভিযোগে মো. শামসুর রহমান মফিজ (২৮) নামে ৩ ফুট উচ্চতার এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মফিজ পাংশা উপজেলার চর ঝিকড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. হারেজ মিয়ার ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২১ নভেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে মফিজ সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তিকে ফোন করে নিজেকে গুলশান ডিবি ঢাকার একজন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাকে জানান, তার নামে অজ্ঞাত মার্ডার মামলা হয়েছে। মামলা থেকে রক্ষা পেতে হলে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে মামলাটি গুলশান থানা থেকে পাংশা থানায় ট্রান্সফার করা হবে।

সোহেল রানা টাকা না দেয়ায় মফিজ অন্য একটি মোবাইল নম্বর থেকে তাকে ফোন করে পাংশা থানার অফিসার পরিচয় দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে আবারও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর পাংশা থানা পুলিশ মফিজকে কৌশলে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে মফিজ প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার আরও বলেন, মফিজের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর থানায় প্রতারণার মামলা আছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিজেকে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহেল রানা বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন।