মীর সৌরভ, রাজবাড়ী, ‘কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় চাই’ এই দাবিতে ক্যাডার কম্পোাজশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবিসমূহ আদাযের লক্ষে রাজবাড়ীতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি জেলা ইউনিটের আয়োজনে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিসিএস সাধারন শিক্ষা ক্যাডারদের ন্যায্য দাবিসমূহ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা ইউনিটের সাধারন সম্পাদক রাজবাড়ী সরকারী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সামসুজ্জামান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,শিক্ষার রূপান্তরের অন্যতম কারিগর বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। তারাই প্রণয়ন করেছেন নতুন শিক্ষাক্রম, এর বাস্তবায়নেও তারাই অন্যতম শক্তি। শিক্ষা ক্যাডারের ১৬ হাজার কর্মকর্তা বর্তমান সরকারের ভিশন-২০৪১ তথা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ আমাদেরকে প্রাপ্য অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই দুই বছর ধরে পদোন্নতি বন্ধ আছে। এই মুহূর্তে শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে অধ্যাপক পদে পদোন্নতিযোগ্য ১ হাজার ২০০ জন, সহযোগী অধ্যাপক পদোন্নতিযোগ্য ৩ হাজার জন, সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা আছেন প্রায় ৩ হাজার জন। এই কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সরকারের কোনো অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন নেই। সবাই পদোন্নতিযোগ্য পদের বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গেছেন। ক্যাডার সার্ভিসে শূন্য পদ না থাকলে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না এমন কোনো বিধান নেই। অথচ শিক্ষা ক্যাডারকে শূন্য পদের অজুহাতে পদোন্নতি বঞ্চিত রাখা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ইউনিটের সভাপতি রাজবাড়ী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হোসনেয়ারা খাতুন, উপাধ্যক্ষ মোঃ নুরুজ্জামান, সরকারী মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু জিহাদ আনসারী, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান সহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি জেলা ইউনিটের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।