ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, আটক ২

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:১৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জে মাংস বিক্রেতাকে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করে ৭ বছরের জেল খাটানোর হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় দুই কথিত সাংবাদিককে আটক করেছে র‌্যাব-৪।

আটককৃতরা হলো- জেলার সিংগাইর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের কদম আলীর ছেলে মো. হারুন অর রশিদ ও সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে বজলুর রহমান।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

এদের মধ্যে হারুন অর রশিদ নিজেকে দৈনিক গণমুক্তি, জি বাংলা টিভি ,দৈনিক ক্রাইম তালাশ এবং বজলুর রহমান নিজেকে দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিত।

হারুন অর রশিদ ও বজলুর রহমান পরষ্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যাদি তৈরী করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও লোকজনকে জেল-জরিমানার ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে নিরীহ ও অসহায় লোকজনের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।

র‌্যাব-৪ সিপিসি-৩ এর লে কমান্ডার মো: আরিফ হোসেন জানান, ভোরের দিকে আটককৃত দুইজন ও আবুল হোসেন নামের আরেক কথিত সাংবাদিক সদর উপজেলার জয়রা এলাকার মাংস বিক্রেতা আবুল কাশেমের বাসস্ট্যান্ডের দোকানে যায়। সেখানে গিয়ে তারা আবুল কাশেমকে অসুস্থ গরু জবাই করেছে বলে অভিযোগ করে। এসময় মাংস বিক্রেতা জবাইকৃত পশুর বৈধ সার্টিফিকেট আছে বলে জানালেও তারা তাকে ব্ল্যাকমেইল করে।

এসময় ওই মাংস বিক্রেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে বিষয়টি মিংমাসা করতে বলে ওই দুই কথিত সাংবাদিক। অন্যথায় ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করে মাংস বিক্রেতাকে ৭ বছরের জেল খাটানোর হুমকি দেয়। পরে বাসস্ট্যান্ডের অন্যান্য মাংস বিক্রেতারা দুই কথিত সাংবাদিককে আটক করে র‌্যাবকে অবহিত করে। এসময় তাদের সাথে থাকা আরেক কথিত সাংবাদিক আবুল হোসেন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে র‌্যাব এসে তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাংস বিক্রেতা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার লিখিত অভিযোগ করেছেন। আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

ট্যাগস :

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় এক অসহায় পরিবারের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও হত্যার হুমকিতে আদালতে মামলা

সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, আটক ২

আপডেট সময় ১১:১৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জে মাংস বিক্রেতাকে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করে ৭ বছরের জেল খাটানোর হুমকি ও ব্ল্যাকমেইল করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় দুই কথিত সাংবাদিককে আটক করেছে র‌্যাব-৪।

আটককৃতরা হলো- জেলার সিংগাইর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের কদম আলীর ছেলে মো. হারুন অর রশিদ ও সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে বজলুর রহমান।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

এদের মধ্যে হারুন অর রশিদ নিজেকে দৈনিক গণমুক্তি, জি বাংলা টিভি ,দৈনিক ক্রাইম তালাশ এবং বজলুর রহমান নিজেকে দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিত।

হারুন অর রশিদ ও বজলুর রহমান পরষ্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যাদি তৈরী করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও লোকজনকে জেল-জরিমানার ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে নিরীহ ও অসহায় লোকজনের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।

র‌্যাব-৪ সিপিসি-৩ এর লে কমান্ডার মো: আরিফ হোসেন জানান, ভোরের দিকে আটককৃত দুইজন ও আবুল হোসেন নামের আরেক কথিত সাংবাদিক সদর উপজেলার জয়রা এলাকার মাংস বিক্রেতা আবুল কাশেমের বাসস্ট্যান্ডের দোকানে যায়। সেখানে গিয়ে তারা আবুল কাশেমকে অসুস্থ গরু জবাই করেছে বলে অভিযোগ করে। এসময় মাংস বিক্রেতা জবাইকৃত পশুর বৈধ সার্টিফিকেট আছে বলে জানালেও তারা তাকে ব্ল্যাকমেইল করে।

এসময় ওই মাংস বিক্রেতার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে বিষয়টি মিংমাসা করতে বলে ওই দুই কথিত সাংবাদিক। অন্যথায় ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করে মাংস বিক্রেতাকে ৭ বছরের জেল খাটানোর হুমকি দেয়। পরে বাসস্ট্যান্ডের অন্যান্য মাংস বিক্রেতারা দুই কথিত সাংবাদিককে আটক করে র‌্যাবকে অবহিত করে। এসময় তাদের সাথে থাকা আরেক কথিত সাংবাদিক আবুল হোসেন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে র‌্যাব এসে তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাংস বিক্রেতা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার লিখিত অভিযোগ করেছেন। আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।