ঢাকা ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৫০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঝালকাঠিতে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকেরা। একই সঙ্গে শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ রোববার সকাল ১০টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। ঝালকাঠি সাংবাদিক সমাজ, প্রেসক্লাব ও প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজনে এ মানববন্ধনে কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা অংশ নেন। ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আক্কাস সিকদারের সঞ্চালনায় এক ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশনের ঝালকাঠি প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা, প্রেসক্লাবের সহ-সম্পাদক ও এন টিভির প্রতিনিধি কে এম সবুজ, স্থানীয় দৈনিক গাউছিয়া পত্রিকার সম্পাদক অলোক সাহা, বাংলা টিভি প্রতিনিধি রতন আচার্য্য, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রতিনিধি রহিম রেজা, এখন টিভির প্রতিনিধি আল আমিন তালুকদার ও প্রথম আলো প্রতিনিধি অসম মাহমুদুর রহমান।
যমুনা টেলিভিশনের ঝালকাঠি প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বারবার মামলা করে গণমাধ্যমকর্মীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, একই পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভার) শামসুজ্জামান ও যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহাবুব আলমসহ অনেক সাংবাদিকের নামে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শামসুজ্জামানকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বাক্‌স্বাধীনতা নিশ্চিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবি জানান।
এন টিভির প্রতিনিধি কে এম সবুজ বলেন, আইনমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, মামলা না হওয়া পর্যন্ত সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। অথচ আমরা দেখছি, মামলা হওয়ার আগেই সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আমরা বলতে চাই, সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করবেন না।’
এখন টিভির প্রতিনিধি আল আমিন তালুকদার বলেন, ‘সারা দেশে এই আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে। এই কালো আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা সাংবাদিকেরা মাঠে থাকব। সাংবাদিক শামসুজ্জামানসহ এ আইনে কারাবন্দী সব সাংবাদিকের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।’
প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আক্কাস সিকদার বলেন, কোনো অভিযোগের তদন্ত ছাড়াই একজন সাংবাদিককে গভীর রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুঃখজনক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজ বন্ধ করা যাবে না। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকেরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন। এই আইন বাতিল করে সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

ঝালকাঠিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৬:৫০:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঝালকাঠিতে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকেরা। একই সঙ্গে শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ রোববার সকাল ১০টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। ঝালকাঠি সাংবাদিক সমাজ, প্রেসক্লাব ও প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজনে এ মানববন্ধনে কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা অংশ নেন। ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আক্কাস সিকদারের সঞ্চালনায় এক ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টেলিভিশনের ঝালকাঠি প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা, প্রেসক্লাবের সহ-সম্পাদক ও এন টিভির প্রতিনিধি কে এম সবুজ, স্থানীয় দৈনিক গাউছিয়া পত্রিকার সম্পাদক অলোক সাহা, বাংলা টিভি প্রতিনিধি রতন আচার্য্য, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রতিনিধি রহিম রেজা, এখন টিভির প্রতিনিধি আল আমিন তালুকদার ও প্রথম আলো প্রতিনিধি অসম মাহমুদুর রহমান।
যমুনা টেলিভিশনের ঝালকাঠি প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বারবার মামলা করে গণমাধ্যমকর্মীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, একই পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভার) শামসুজ্জামান ও যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহাবুব আলমসহ অনেক সাংবাদিকের নামে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শামসুজ্জামানকে মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বাক্‌স্বাধীনতা নিশ্চিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবি জানান।
এন টিভির প্রতিনিধি কে এম সবুজ বলেন, আইনমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, মামলা না হওয়া পর্যন্ত সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। অথচ আমরা দেখছি, মামলা হওয়ার আগেই সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আমরা বলতে চাই, সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করবেন না।’
এখন টিভির প্রতিনিধি আল আমিন তালুকদার বলেন, ‘সারা দেশে এই আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে। এই কালো আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা সাংবাদিকেরা মাঠে থাকব। সাংবাদিক শামসুজ্জামানসহ এ আইনে কারাবন্দী সব সাংবাদিকের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।’
প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আক্কাস সিকদার বলেন, কোনো অভিযোগের তদন্ত ছাড়াই একজন সাংবাদিককে গভীর রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া দুঃখজনক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজ বন্ধ করা যাবে না। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকেরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন। এই আইন বাতিল করে সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ।