ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র প্রাপ্ত ::
Logo গাজীপুর সিটি করপোরশন ৪৮০ কেন্দ্রের ফলাফল Logo রাজবাড়ীতে মৎস্য কার্ডের চাল না পাওয়ায় মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন Logo ঝালকাঠিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহী যুবকের Logo রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে অস্ত্র-গুলিসহ আটক ১ Logo রাজবাড়ীতে ৪১ জনের নামসহ বিএনপির ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির বিরুদ্ধে Logo রাজবাড়ীতে সাংবাদিক পরিচয়ধারী ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার Logo রাজবাড়ীতে ডিবির অভিযানে নগদ টাকা ও গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ৩ Logo ঝালকাঠি সাবিহা কেমিক্যালসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো শামীম আহম্মেদ কারাগারে Logo গোয়ালন্দে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহীন হিরোইন ও ইয়াবা সহ আটক

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে ভাগ্যের চাকা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে

 

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, এক সময় রাত কেটেছে ভাড়া বাড়িতে, কখনো বা রাস্তার পাশের খুপড়ি ঘরে। নিজের ন্যূনতম একটা ঘরের কখনো স্বপ্ন দেখেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের মাধ্যমে নিজের স্থায়ী ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে মানিকগঞ্জের আট শতাধিক অসহায় ভূমিহীনদের।

অসহায় স্বামী আর তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে মনোয়ারা বেগমের সংসার। প্রায় দুই যুগ আগে নিজের বসতবাড়ি হারিয়ে ভূমিহীন অবস্থায় মানুষের কটু কথা আর খারাপ ব্যবহারে চোখের জল ফেলতে ফেলতেই জীবন সংগ্রামে লড়ছেন। দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে রাতারাতি বদলে গেছে ভাগ্যের চাকা।

মনোয়ারা বেগমের মতো মানিকগঞ্জে আরও সাড়ে আটশত গৃহহীন ও ভূমিহীন অসহায় পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। তারা এখন দেখছেন স্বাবলম্বী হবার স্বপ্ন।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে স্বাবলম্বী হওয়া মনোয়ারা বেগম বলেন, প্রায় দুই যুগ ধরে কখনো অন্যের বাড়িতে ভাড়া, আবার কখনও রাস্তার পাশে খুপড়ি ঘরে জীবনযাপন করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দুই যুগের কষ্ট দূর করে আমাদের বাড়ি-ঘর করে দিয়েছে। এখানে হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল লালন পালন করে অনেকটা স্বাবলম্বী হয়ে আমরা এখন কষ্টের দিন ভূলতে শুরু করেছি। এখানে ফলের গাছ লাগিয়ে নিজের গাছের ফল খাওয়ারও স্বপ্ন দেখছি।

সুফিয়া বেগম নামের আরেক নারী বলেন, প্রায় ২০ বছর অন্যের বাড়িতে ভাড়া থেকেছি। আগে মাস শেষ হলেই ভাড়ার টাকা নিয়ে দু:শ্চিন্তা হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ঘর উপহার দেওয়ার পর থেকে আমরা অনেক সুখে আছি। ছেলেকেও লেখাপড়া করাতে পারি। শেখ হাসিনা আমাদের কষ্ট দূর করে দিয়েছে। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকেও ভালো রাখে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, উপজেলার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে বিনামূল্যে বিভিন্নরকম সবজির বীজ এবং সার সরবরাহ করা হয়েছে। সুপেয় পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্প এই এলাকার নিরাশ্রয় অসহায় মানুষদের জন্য এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করেছে।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, উপহারের ঘর পাওয়া পরিবারগুলোর জন্য হাঁস-মুরগি বিতরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে ১০০টি পরিবারের জন্য এক হাজার মুরগির বাচ্চা দেয়ার বিষয়টি চুড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিহীন মুক্ত দুইটি উপজেলার পরিবারগুলোর প্রশিক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমরা ইতোমধ্যে কিছু বরাদ্দ পেয়েছি। যুব উন্নয়নের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে। একইভাবে অন্যান্য উপজেলার পরিবারগুলোকেও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তাদের উন্নত জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করা হবে।

উল্লেখ্য, জেলায় তালিকা অনুযায়ী ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ১ হাজার চারশো ৪৫টি। তালিকাকৃত এসব পরিবারের মাঝে
ইতোমধ্যে ৮৫১টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাকি পরিবারগুলোর মধ্যে ঘর প্রদান করে পুরো জেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় নিখোঁজের ১৪ দিন পরেও খোঁজ মেলেনি প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানের

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে ভাগ্যের চাকা

আপডেট সময় ১০:১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

 

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, এক সময় রাত কেটেছে ভাড়া বাড়িতে, কখনো বা রাস্তার পাশের খুপড়ি ঘরে। নিজের ন্যূনতম একটা ঘরের কখনো স্বপ্ন দেখেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের মাধ্যমে নিজের স্থায়ী ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে মানিকগঞ্জের আট শতাধিক অসহায় ভূমিহীনদের।

অসহায় স্বামী আর তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে মনোয়ারা বেগমের সংসার। প্রায় দুই যুগ আগে নিজের বসতবাড়ি হারিয়ে ভূমিহীন অবস্থায় মানুষের কটু কথা আর খারাপ ব্যবহারে চোখের জল ফেলতে ফেলতেই জীবন সংগ্রামে লড়ছেন। দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে রাতারাতি বদলে গেছে ভাগ্যের চাকা।

মনোয়ারা বেগমের মতো মানিকগঞ্জে আরও সাড়ে আটশত গৃহহীন ও ভূমিহীন অসহায় পরিবার পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। তারা এখন দেখছেন স্বাবলম্বী হবার স্বপ্ন।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে স্বাবলম্বী হওয়া মনোয়ারা বেগম বলেন, প্রায় দুই যুগ ধরে কখনো অন্যের বাড়িতে ভাড়া, আবার কখনও রাস্তার পাশে খুপড়ি ঘরে জীবনযাপন করতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দুই যুগের কষ্ট দূর করে আমাদের বাড়ি-ঘর করে দিয়েছে। এখানে হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল লালন পালন করে অনেকটা স্বাবলম্বী হয়ে আমরা এখন কষ্টের দিন ভূলতে শুরু করেছি। এখানে ফলের গাছ লাগিয়ে নিজের গাছের ফল খাওয়ারও স্বপ্ন দেখছি।

সুফিয়া বেগম নামের আরেক নারী বলেন, প্রায় ২০ বছর অন্যের বাড়িতে ভাড়া থেকেছি। আগে মাস শেষ হলেই ভাড়ার টাকা নিয়ে দু:শ্চিন্তা হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ঘর উপহার দেওয়ার পর থেকে আমরা অনেক সুখে আছি। ছেলেকেও লেখাপড়া করাতে পারি। শেখ হাসিনা আমাদের কষ্ট দূর করে দিয়েছে। দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকেও ভালো রাখে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, উপজেলার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদেরকে বিনামূল্যে বিভিন্নরকম সবজির বীজ এবং সার সরবরাহ করা হয়েছে। সুপেয় পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্প এই এলাকার নিরাশ্রয় অসহায় মানুষদের জন্য এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করেছে।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, উপহারের ঘর পাওয়া পরিবারগুলোর জন্য হাঁস-মুরগি বিতরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে ১০০টি পরিবারের জন্য এক হাজার মুরগির বাচ্চা দেয়ার বিষয়টি চুড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিহীন মুক্ত দুইটি উপজেলার পরিবারগুলোর প্রশিক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমরা ইতোমধ্যে কিছু বরাদ্দ পেয়েছি। যুব উন্নয়নের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে। একইভাবে অন্যান্য উপজেলার পরিবারগুলোকেও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তাদের উন্নত জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করা হবে।

উল্লেখ্য, জেলায় তালিকা অনুযায়ী ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ১ হাজার চারশো ৪৫টি। তালিকাকৃত এসব পরিবারের মাঝে
ইতোমধ্যে ৮৫১টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাকি পরিবারগুলোর মধ্যে ঘর প্রদান করে পুরো জেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষণা করা হবে।