ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্ত্রীর হামলা থেকে রেহাই চেয়ে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

স্ত্রীর হামলা থেকে রেহাই চেয়ে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ আল মইন নিজ স্ত্রীর হামলা থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পরে শোনান আব্দুল্লাহ আল মইন নামের এক ব্যবসায়ী।

লিখিত পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘তিনি ও তার স্ত্রী আমেনা আক্তার দুজনেই কয়েক বছর আগে পৃথক সময়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। আব্দুলাহ আল মইনের পুর্বের নাম ছিলো অপুর্ব কুমার পাল। এবং স্ত্রী আমেনা আক্তারের পুর্বের নাম ছিলো শেফালী দাস।

লিখিত বক্তব্যে মইন জানান, সম্প্রতী তার স্ত্রী আমেনা পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে পরকিয়া প্রেমিক সহ সহযোগীদের দিয়ে তার উপর হামলা করছে। বসতঘরে লুটপাট করেছে। নানা ষড়যন্ত্র সৃষ্টি করছে।

মইন বলেন, ‘স্ত্রী আমেনা বছর খানেক ধরে কাউখালী উপজেলার ইউনুস আলী হাওলাদারের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন হাওলাদারের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং আমার আপত্তি সত্ত্বেও রিয়াজের সহযোগী রাজাপুর শুক্তাগড় গ্রামের আনসার আলী খানের পুত্র কবির হোসেন খান এবং একই গ্রামের চুন্নু মাতুব্বরের পুত্র আরিফ মাতুব্বর সহ কতিপয় ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্টতা গড়ে তোলে। আমি তাকে অনৈতিক পথ থেকে ও বখাটেদের সাথে চলাফেরা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করলে সে আমার সাথে সংসার করতে অনিহা প্রকাশ করে।’

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে গ্রামের বাড়ী থেকে বাইরে গেলে ন্ত্রী আমেনা, তার প্রেমিক ও সহযোগীদের নিয়ে মইনের ঘরের আলমারীতে রাখা নগদ ২লাখ টাকা, পৌনে ৩ভরি স্বর্নালংকার, মূল্যবান মালামালসহ সাড়ে ৪ লাখ টাকার মালামাল এবং তাদের ৩ বছরের শিশু পুত্রকে নিয়ে আমেনা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (রাজাপুর) আদালতে সি.আর ২৬৩/২০২২ নং মামলা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট (রাজাপুর) আদালতে এমপি ১৭৭/২০২২ নম্বর মামলা দায়ের করি।

আমাকে হয়রানি ও নির্যাতন করার উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রী ও তার সহযোগীরা গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কাল্পনিক হামলা-মারধরের নাটক সাজিয়ে শেফালি ওরফে আমেনাকে আহত সাজিয়ে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

উক্ত চক্রটি আমার বিরুদ্ধে ৫লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করা এবং স্থানীয় পঞ্চাশোর্ধ এক সম্মানীত স্কুল শিক্ষিকার সাথে আমার কথিত সম্পর্কের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।

যে কারনে উক্ত সন্ত্রাসী চক্রের সন্ত্রাসী হামলা ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার ভয়ে বর্তমানে ৬বছরে
শিশুপুত্রকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

মইন জানান, গত ২০১৫ সালে শুক্তাগড় গ্রামের সুধির দাসের কন্যা শেফালী দাসকে বিয়ে করে দাম্পত্য জীবন পরিচালনা কালে আমাদের সংসারে ৬ এবং ৩ বছরের দুটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে।

এরমধ্যে কয়েক বছর পূর্বে আমরা ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্টি হয়ে দুজনেই ইসলাম ধর্ম গ্রহন
করে আমার নাম আবদুল্লাহ আল মইন ও শেফালির নাম আমেনা আক্তার রাখি।

আমি আমার জীবন রক্ষার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত পূর্বক আইনগত সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

স্ত্রীর হামলা থেকে রেহাই চেয়ে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

স্ত্রীর হামলা থেকে রেহাই চেয়ে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৯:৪১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ আল মইন নিজ স্ত্রীর হামলা থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পরে শোনান আব্দুল্লাহ আল মইন নামের এক ব্যবসায়ী।

লিখিত পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘তিনি ও তার স্ত্রী আমেনা আক্তার দুজনেই কয়েক বছর আগে পৃথক সময়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। আব্দুলাহ আল মইনের পুর্বের নাম ছিলো অপুর্ব কুমার পাল। এবং স্ত্রী আমেনা আক্তারের পুর্বের নাম ছিলো শেফালী দাস।

লিখিত বক্তব্যে মইন জানান, সম্প্রতী তার স্ত্রী আমেনা পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে পরকিয়া প্রেমিক সহ সহযোগীদের দিয়ে তার উপর হামলা করছে। বসতঘরে লুটপাট করেছে। নানা ষড়যন্ত্র সৃষ্টি করছে।

মইন বলেন, ‘স্ত্রী আমেনা বছর খানেক ধরে কাউখালী উপজেলার ইউনুস আলী হাওলাদারের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন হাওলাদারের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং আমার আপত্তি সত্ত্বেও রিয়াজের সহযোগী রাজাপুর শুক্তাগড় গ্রামের আনসার আলী খানের পুত্র কবির হোসেন খান এবং একই গ্রামের চুন্নু মাতুব্বরের পুত্র আরিফ মাতুব্বর সহ কতিপয় ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্টতা গড়ে তোলে। আমি তাকে অনৈতিক পথ থেকে ও বখাটেদের সাথে চলাফেরা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করলে সে আমার সাথে সংসার করতে অনিহা প্রকাশ করে।’

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ অক্টোবর সকাল ৮টার দিকে গ্রামের বাড়ী থেকে বাইরে গেলে ন্ত্রী আমেনা, তার প্রেমিক ও সহযোগীদের নিয়ে মইনের ঘরের আলমারীতে রাখা নগদ ২লাখ টাকা, পৌনে ৩ভরি স্বর্নালংকার, মূল্যবান মালামালসহ সাড়ে ৪ লাখ টাকার মালামাল এবং তাদের ৩ বছরের শিশু পুত্রকে নিয়ে আমেনা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (রাজাপুর) আদালতে সি.আর ২৬৩/২০২২ নং মামলা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট (রাজাপুর) আদালতে এমপি ১৭৭/২০২২ নম্বর মামলা দায়ের করি।

আমাকে হয়রানি ও নির্যাতন করার উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রী ও তার সহযোগীরা গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কাল্পনিক হামলা-মারধরের নাটক সাজিয়ে শেফালি ওরফে আমেনাকে আহত সাজিয়ে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

উক্ত চক্রটি আমার বিরুদ্ধে ৫লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করা এবং স্থানীয় পঞ্চাশোর্ধ এক সম্মানীত স্কুল শিক্ষিকার সাথে আমার কথিত সম্পর্কের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।

যে কারনে উক্ত সন্ত্রাসী চক্রের সন্ত্রাসী হামলা ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার ভয়ে বর্তমানে ৬বছরে
শিশুপুত্রকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

মইন জানান, গত ২০১৫ সালে শুক্তাগড় গ্রামের সুধির দাসের কন্যা শেফালী দাসকে বিয়ে করে দাম্পত্য জীবন পরিচালনা কালে আমাদের সংসারে ৬ এবং ৩ বছরের দুটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে।

এরমধ্যে কয়েক বছর পূর্বে আমরা ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্টি হয়ে দুজনেই ইসলাম ধর্ম গ্রহন
করে আমার নাম আবদুল্লাহ আল মইন ও শেফালির নাম আমেনা আক্তার রাখি।

আমি আমার জীবন রক্ষার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত পূর্বক আইনগত সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি।