ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠিতে গুম হওয়া যুবকের ৫ বছর পর কঙ্কাল উদ্ধার

ঝালকাঠিতে গুম হওয়া যুবকের ৫ বছর পর কঙ্কাল উদ্ধার

ঝালকাঠির রাজাপুরে হুম হওয়ার ৫ বছর পর খাইরুল মীর নামে এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার বিকেলে উপজেলার কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছন থেকে এ কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে চারজনে মিলে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় ঝালকাঠি সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হক এ তথ্য জানান।

সিআইডি জানায়, ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাজাপুর উপজেলা সদরের বাইপাস এলাকার বাড়ি থেকে খাইরুল মীরকে মোবাইল ফোনে নলবুনিয়া গ্রামে ডেকে নেয় ফোরকান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী। নলবুনিয়া গ্রামের মনির হোসেনের বাড়িতে বসে খাইরুল মীরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ফোরকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস মিলে তাকে হত্যা করে। পরে তাঁর লাশ মনিরের বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেয় তারা।
ঘটনার এক মাস পরে ওই চারজন মিলে লাশ তুলে পাশের গ্রাম কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে পুনরায় মাটি চাপা দেয়।

এ ঘটনায় খাইরুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি ঘটনার ক্লু উদঘাটন করতে সক্ষম হন। গত ৩ অক্টোবর রাতে কানুদাশকাঠি গ্রামের বাড়ি থেকে সিআইডি মিরাজুল ইসলাম মিজুকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকারীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।

ঝালকাঠি সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হকের নেতৃত্বে একটি দল বৃহস্পতিবার বিকেলে কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছনের বাঁশঝাড় থেকে খাইরুল মীরের কঙ্কাল উদ্ধার করে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

ঝালকাঠিতে গুম হওয়া যুবকের ৫ বছর পর কঙ্কাল উদ্ধার

ঝালকাঠিতে গুম হওয়া যুবকের ৫ বছর পর কঙ্কাল উদ্ধার

আপডেট সময় ০৯:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২

ঝালকাঠির রাজাপুরে হুম হওয়ার ৫ বছর পর খাইরুল মীর নামে এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার বিকেলে উপজেলার কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছন থেকে এ কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে চারজনে মিলে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় ঝালকাঠি সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হক এ তথ্য জানান।

সিআইডি জানায়, ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাজাপুর উপজেলা সদরের বাইপাস এলাকার বাড়ি থেকে খাইরুল মীরকে মোবাইল ফোনে নলবুনিয়া গ্রামে ডেকে নেয় ফোরকান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী। নলবুনিয়া গ্রামের মনির হোসেনের বাড়িতে বসে খাইরুল মীরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ফোরকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস মিলে তাকে হত্যা করে। পরে তাঁর লাশ মনিরের বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেয় তারা।
ঘটনার এক মাস পরে ওই চারজন মিলে লাশ তুলে পাশের গ্রাম কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে পুনরায় মাটি চাপা দেয়।

এ ঘটনায় খাইরুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে তিনি ঘটনার ক্লু উদঘাটন করতে সক্ষম হন। গত ৩ অক্টোবর রাতে কানুদাশকাঠি গ্রামের বাড়ি থেকে সিআইডি মিরাজুল ইসলাম মিজুকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকারীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।

ঝালকাঠি সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হকের নেতৃত্বে একটি দল বৃহস্পতিবার বিকেলে কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছনের বাঁশঝাড় থেকে খাইরুল মীরের কঙ্কাল উদ্ধার করে।