ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠিতে সূর্যমুখী চাষ করে তাক লাগিয়েছে কৃষক সেলিম মৃধা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ- ঝালকাঠি সদর উপজেলায় বিনয়কাঠি ইউনিয়নে উত্তর মানপাশা গ্রামের আদর্শ কৃষক সেলিম মৃধা প্রথমাবরের মত সূর্যমুখী চাষ করে তাক লাগিয়েছে। সেলিম মৃধা এই বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের পরামর্শ তার পতিত থাকা ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছে। কৃষি বিভাগের ধারণামতে তার ক্ষেতে হেক্টর প্রতি ২ থেকে ২.৫ মেট্রিক টন সূর্যমুখী উৎপাদন হবে। যদিও সাধারণত ১.৫ থেকে ২ মেট্রিক টন হেক্টর প্রতি উৎপাদনকে কৃষি বিভাগ বাম্পার ফলন হিসেবে চিহ্নিত করেন। সেলিম চাষ করা এই সূর্যমুখী প্রতিটি ফুলে ২৫০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম তেল উৎপাদনের বীজ পাবেন।

কৃষি বিভাগের মতে এই জাতীয় সূর্যমুখী চাষের জীবনকাল ছোট ছোট মাত্র ১১০দিনের এবং এই চাষ করেও কৃষক দ্রæত অন্য ফলন চাষে যেতে পারে। এই অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষের পরিমাণ কম হলেও তৈল জাতীয় ফসল উৎপাদনে প্রনোদনা দেয়ায় উৎপাদন সরিষা ও সূর্যমুখী দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার এই চাষে কৃষি প্রনোদনার আওতায় কৃষকদের সার, বীজ ও সেচ খরচও দিয়েছেন। তবে চাষের সূর্যমুখী চাষের বড় ঝুকি ও ক্ষতির কারণ টিয়া পাখি। ফুলে ফলন ধরার সময় থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে টিয়া পাখি ফুলের বীজ খেয়ে ফেলে তবে যা খায় তার চেয়ে নষ্ট করে বেশি। কৃষক এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে ছোট ছোট টিনের কৌটার মধ্যে শব্দজনক ঝুনঝুনি বানিয়ে রাখে এবং ক্ষেতের অদূরে বসেও পাখির আক্রমণ দেখা দিলে রশি দরে টানাটানি করলে শব্দে টিয়া পাখি ভয় ক্ষেত ছেড়ে পালিয়ে যায়। এছাড়াও সূর্যমুখী ফুলের মধ্যে এক ধরণের লেজা পোকা ফসলের ক্ষতি করে। কিন্তু এ বছর কীটনাশক প্রয়োগ করে ফলন ধরার পূর্বেই রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক।

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় এক অসহায় পরিবারের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও হত্যার হুমকিতে আদালতে মামলা

ঝালকাঠিতে সূর্যমুখী চাষ করে তাক লাগিয়েছে কৃষক সেলিম মৃধা

আপডেট সময় ১০:৫০:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ- ঝালকাঠি সদর উপজেলায় বিনয়কাঠি ইউনিয়নে উত্তর মানপাশা গ্রামের আদর্শ কৃষক সেলিম মৃধা প্রথমাবরের মত সূর্যমুখী চাষ করে তাক লাগিয়েছে। সেলিম মৃধা এই বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের পরামর্শ তার পতিত থাকা ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছে। কৃষি বিভাগের ধারণামতে তার ক্ষেতে হেক্টর প্রতি ২ থেকে ২.৫ মেট্রিক টন সূর্যমুখী উৎপাদন হবে। যদিও সাধারণত ১.৫ থেকে ২ মেট্রিক টন হেক্টর প্রতি উৎপাদনকে কৃষি বিভাগ বাম্পার ফলন হিসেবে চিহ্নিত করেন। সেলিম চাষ করা এই সূর্যমুখী প্রতিটি ফুলে ২৫০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম তেল উৎপাদনের বীজ পাবেন।

কৃষি বিভাগের মতে এই জাতীয় সূর্যমুখী চাষের জীবনকাল ছোট ছোট মাত্র ১১০দিনের এবং এই চাষ করেও কৃষক দ্রæত অন্য ফলন চাষে যেতে পারে। এই অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষের পরিমাণ কম হলেও তৈল জাতীয় ফসল উৎপাদনে প্রনোদনা দেয়ায় উৎপাদন সরিষা ও সূর্যমুখী দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার এই চাষে কৃষি প্রনোদনার আওতায় কৃষকদের সার, বীজ ও সেচ খরচও দিয়েছেন। তবে চাষের সূর্যমুখী চাষের বড় ঝুকি ও ক্ষতির কারণ টিয়া পাখি। ফুলে ফলন ধরার সময় থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে টিয়া পাখি ফুলের বীজ খেয়ে ফেলে তবে যা খায় তার চেয়ে নষ্ট করে বেশি। কৃষক এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে ছোট ছোট টিনের কৌটার মধ্যে শব্দজনক ঝুনঝুনি বানিয়ে রাখে এবং ক্ষেতের অদূরে বসেও পাখির আক্রমণ দেখা দিলে রশি দরে টানাটানি করলে শব্দে টিয়া পাখি ভয় ক্ষেত ছেড়ে পালিয়ে যায়। এছাড়াও সূর্যমুখী ফুলের মধ্যে এক ধরণের লেজা পোকা ফসলের ক্ষতি করে। কিন্তু এ বছর কীটনাশক প্রয়োগ করে ফলন ধরার পূর্বেই রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক।