ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ঝালকাঠিতে মন্দিরে হামলাকারীদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠিতে মন্দিরে হামলাকারীদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

নলছিটিতে প্রাচীন মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে মালামাল লুট করার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

আজ বুধবার (২৯ জুন) বেলা ১২ টায় ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন নলছিটির শ্রী মনিন্দ্র চন্দ্র রায়ের স্ত্রী রেক্সোনা রানী দাস।

লিখিত বক্তব্যে রেক্সোনা জানান, নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের লক্ষণকাঠি গ্রামে দুইশো বছরের পুরোনো শ্রী গুরু মন্দিরে হামলা করে মন্দিরের জায়গা দখল করে নিয়েছে একই এলাকার একটি গ্রুপ। মন্দিরের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিযোগে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান রেক্সোনা দাস।

লিখিত বক্তব্য এবং মামলায় যে সকল ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন, স্থানীয় মৃত বেজেন্দ্র দাসের তিন ছেলে স্বপন কুমার দাস, রতন কুমার দাস, তপন কুমার দাস। এছাড়াও পার্শবর্তী এলাকার মৃত জামিনী দাসের ছেলে বিজয় কৃষ্ণ দাস, শ্যামল দাসের ছেলে সজল দাস এবং মৃত বিমল পোদ্দারের ছেলে বিনয় পোদ্দার।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় অভিযুক্তরা, দুইশ বছর আগের প্রাচীন মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে মন্দিরে থাকা সকল মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মন্দিরের জমি আত্মসাৎ করাই ছিলো তাদের মূল উদ্দেশ্য।

রেক্সোনা দাস বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা ঝালকাঠি জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। এবং ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলা দায়ের করেছি।

ঝালকাঠি জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুন কুমার কর্মকার বলেন, এটি শ্রী গুরু মন্দির বিধায় আমাদের পুজা উদযাপন পরিষদ সংস্লিষ্ট নয়। শ্রীগুরু সংঘ কাউখালী এদের কেন্দ্র। বিষয়টি তারা দেখবে।

শ্রী গুরু সঙ্ঘের ঝালকাঠির জেলা শাখার সহসভাপতি অসীম কুমার রায় বলেন, মন্দিরটি বেশ পুরোনো এবং জরাজীর্ন ঝামেলা হওয়ার পরে আমরা নলছিটি কমিটির সদস্যদের নিয়ে পুলিশ এবং ইউপি চেয়ারম্যানের সমন্নয়ে মন্দিরটি অপসারন করে পাশেই পাকা ভবন করে মন্দিরটি নতুন ভাবে স্থাপন করে দিয়েছি।

রাজবাড়ীর পাংশায় প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থা কতৃক আয়োজিত ঈদ পূর্ণমিলন

ঝালকাঠিতে মন্দিরে হামলাকারীদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠিতে মন্দিরে হামলাকারীদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৫:৪২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

নলছিটিতে প্রাচীন মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে মালামাল লুট করার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

আজ বুধবার (২৯ জুন) বেলা ১২ টায় ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন নলছিটির শ্রী মনিন্দ্র চন্দ্র রায়ের স্ত্রী রেক্সোনা রানী দাস।

লিখিত বক্তব্যে রেক্সোনা জানান, নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের লক্ষণকাঠি গ্রামে দুইশো বছরের পুরোনো শ্রী গুরু মন্দিরে হামলা করে মন্দিরের জায়গা দখল করে নিয়েছে একই এলাকার একটি গ্রুপ। মন্দিরের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিযোগে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান রেক্সোনা দাস।

লিখিত বক্তব্য এবং মামলায় যে সকল ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন, স্থানীয় মৃত বেজেন্দ্র দাসের তিন ছেলে স্বপন কুমার দাস, রতন কুমার দাস, তপন কুমার দাস। এছাড়াও পার্শবর্তী এলাকার মৃত জামিনী দাসের ছেলে বিজয় কৃষ্ণ দাস, শ্যামল দাসের ছেলে সজল দাস এবং মৃত বিমল পোদ্দারের ছেলে বিনয় পোদ্দার।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় অভিযুক্তরা, দুইশ বছর আগের প্রাচীন মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে মন্দিরে থাকা সকল মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মন্দিরের জমি আত্মসাৎ করাই ছিলো তাদের মূল উদ্দেশ্য।

রেক্সোনা দাস বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা ঝালকাঠি জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। এবং ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলা দায়ের করেছি।

ঝালকাঠি জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুন কুমার কর্মকার বলেন, এটি শ্রী গুরু মন্দির বিধায় আমাদের পুজা উদযাপন পরিষদ সংস্লিষ্ট নয়। শ্রীগুরু সংঘ কাউখালী এদের কেন্দ্র। বিষয়টি তারা দেখবে।

শ্রী গুরু সঙ্ঘের ঝালকাঠির জেলা শাখার সহসভাপতি অসীম কুমার রায় বলেন, মন্দিরটি বেশ পুরোনো এবং জরাজীর্ন ঝামেলা হওয়ার পরে আমরা নলছিটি কমিটির সদস্যদের নিয়ে পুলিশ এবং ইউপি চেয়ারম্যানের সমন্নয়ে মন্দিরটি অপসারন করে পাশেই পাকা ভবন করে মন্দিরটি নতুন ভাবে স্থাপন করে দিয়েছি।