ঢাকা ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠির নলছিটিতে শিক্ষকের দোকান দখল করে আ.লীগ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টানানোর অভিযোগ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৪০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

এইচ এম নাসির উদ্দিন ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটির সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সিকদারের বিরুদ্ধে এক শিক্ষকের জমি ও দোকান দখল করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা তালতলা বাজার এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তালতলা বাজারের মজকুনি মৌজার সাড়ে ১৯ শতাংশ জমি কিনে তিনি একটি ভবন নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। পাশাপাশি ওই জমিতে তাঁর টিনসেডের একটি কাঠের ঘর ও দুটি টিনসেডের দোকান রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সিকদার এবং তাঁর দুই ছেলে মাছুম সিকদার ও মামুন সিকদার লোকজন নিয়ে ওই দোকানঘর দুটি দখল করে।

তাঁরা একটি দোকানের সামনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। অন্য দোকানটি থেকে মালামাল সরিয়ে সাইকেলের গ্যারেজ করে তা ভাড়া দিয়ে দেন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক গত ১৫ জানুয়ারি ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামালা করেন। আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নলছিটি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মোল্লারহাট তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আজিজুল বারী তদন্ত করে জমি দখলের প্রমান পায়। এছাড়াও স্থানীয় তহসিল অফিস থেকেও ওই শিক্ষকের পক্ষে প্রতিবেদন দেন। এর পরেও দখলদাররা আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে জোর করে জমি দখল করে রেখেছে।

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান সিকদারের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্দ এলাকার মানুষ। তাঁর হাত থেকে দখল হওয়া জমি মুক্ত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রিনা বেগম ও ভাই কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সিকদার বলেন, জমির প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে তাঁর দুই ছেলে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। ওই জমিতে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে।

এইচ এম নাসির উদ্দিন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

ঝালকাঠির নলছিটিতে শিক্ষকের দোকান দখল করে আ.লীগ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টানানোর অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:৪০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এইচ এম নাসির উদ্দিন ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটির সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সিকদারের বিরুদ্ধে এক শিক্ষকের জমি ও দোকান দখল করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টানানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা তালতলা বাজার এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তালতলা বাজারের মজকুনি মৌজার সাড়ে ১৯ শতাংশ জমি কিনে তিনি একটি ভবন নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। পাশাপাশি ওই জমিতে তাঁর টিনসেডের একটি কাঠের ঘর ও দুটি টিনসেডের দোকান রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সিকদার এবং তাঁর দুই ছেলে মাছুম সিকদার ও মামুন সিকদার লোকজন নিয়ে ওই দোকানঘর দুটি দখল করে।

তাঁরা একটি দোকানের সামনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। অন্য দোকানটি থেকে মালামাল সরিয়ে সাইকেলের গ্যারেজ করে তা ভাড়া দিয়ে দেন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক গত ১৫ জানুয়ারি ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামালা করেন। আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নলছিটি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মোল্লারহাট তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আজিজুল বারী তদন্ত করে জমি দখলের প্রমান পায়। এছাড়াও স্থানীয় তহসিল অফিস থেকেও ওই শিক্ষকের পক্ষে প্রতিবেদন দেন। এর পরেও দখলদাররা আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে জোর করে জমি দখল করে রেখেছে।

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান সিকদারের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্দ এলাকার মানুষ। তাঁর হাত থেকে দখল হওয়া জমি মুক্ত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রিনা বেগম ও ভাই কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সিকদার বলেন, জমির প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে তাঁর দুই ছেলে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। ওই জমিতে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে।

এইচ এম নাসির উদ্দিন।