ঢাকা ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে দিনদুপুরে গরুর ট্রলারে ডাকাতি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:১২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীতে দিনদুপুরে গরু ব্যবসায়ীদের ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা অন্তত ৪০ জন গরু ব্যবসায়ীর কয়েক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। এ ঘটনায় ট্রলারচালককে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। মঙ্গলবার (২ মে) বিকাল ৩টার দিকে দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাট সংলগ্ন নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন স্থান থেকে গরু কিনে মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের আরিচা হাটে সেগুলো বিক্রি করেন। গরু বিক্রি শেষে দুপুর ২টার দিকে আরিচা ঘাট থেকে ট্রলারে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা হন। বিকাল ৩টার দিকে দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাট সংলগ্ন এলে স্পিডবোট নিয়ে একদল সশস্ত্র ডাকাত তাদের ট্রলারে হামলা চালায়। এ সময় ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে ব্যবসায়ীদের মারধর করা হয়। এতে অন্তত ২০ ব্যবসায়ী আহত হন। এরপর হত্যার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কয়েক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

ট্রলারে থাকা গরু ব্যবসায়ী কুদ্দুস বেপারি বলেন, ‘ডাকাতরা আমাদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেছে। পরে হত্যার ভয়ে দেখিয়ে আমার কাছে থাকা এক লাখ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’

ট্রলারে থাকা মোশারফ হোসেন বেপারি বলেন, ‘অধিকাংশ ডাকাতের মুখ বাঁধা ছিল। আমরা ৪০ জনের মতো ছিলাম। আমাদের সবার কাছে কম বেশি টাকা ছিল। ডাকাতরা আমার দুই লাখ, মনতাজ বেপারির এক লাখ ৪২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এ ছাড়া অপর ব্যবসায়ীদের সব টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।’

আটককৃত ট্রলারচালক মো. রুবেল বলেন, ‘ডাকাতরা আমার হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করায় আহত হই। পরে আমার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এরপর ট্রলারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সব টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জেএম সিরাজুল কবির বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই আমরা। ডাকাতদলকে ধাওয়া করে কাঁঠালবাড়ি ঘাট পর্যন্ত নিয়ে যাই। এরপর কাঁঠালবাড়ি ঘাট নৌ-পুলিশ অভিযানে অংশ নেয়। মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহির স্পিডবোট নিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করেছিল। কিন্তু স্পিডবোট ফেলে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা যায়নি। তবে স্পিডবোট থেকে তিনটি পাইপগান জব্দ করা হয়েছে। অভিযান এখনও অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রলারচালককে আটক করা হয়েছে।

রাজবাড়ীর পাংশায় প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থা কতৃক আয়োজিত ঈদ পূর্ণমিলন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে দিনদুপুরে গরুর ট্রলারে ডাকাতি

আপডেট সময় ০৭:১২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩

গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা নদীতে দিনদুপুরে গরু ব্যবসায়ীদের ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা অন্তত ৪০ জন গরু ব্যবসায়ীর কয়েক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। এ ঘটনায় ট্রলারচালককে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। মঙ্গলবার (২ মে) বিকাল ৩টার দিকে দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাট সংলগ্ন নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

গরু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন স্থান থেকে গরু কিনে মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের আরিচা হাটে সেগুলো বিক্রি করেন। গরু বিক্রি শেষে দুপুর ২টার দিকে আরিচা ঘাট থেকে ট্রলারে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা হন। বিকাল ৩টার দিকে দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাট সংলগ্ন এলে স্পিডবোট নিয়ে একদল সশস্ত্র ডাকাত তাদের ট্রলারে হামলা চালায়। এ সময় ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে ব্যবসায়ীদের মারধর করা হয়। এতে অন্তত ২০ ব্যবসায়ী আহত হন। এরপর হত্যার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কয়েক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

ট্রলারে থাকা গরু ব্যবসায়ী কুদ্দুস বেপারি বলেন, ‘ডাকাতরা আমাদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেছে। পরে হত্যার ভয়ে দেখিয়ে আমার কাছে থাকা এক লাখ ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’

ট্রলারে থাকা মোশারফ হোসেন বেপারি বলেন, ‘অধিকাংশ ডাকাতের মুখ বাঁধা ছিল। আমরা ৪০ জনের মতো ছিলাম। আমাদের সবার কাছে কম বেশি টাকা ছিল। ডাকাতরা আমার দুই লাখ, মনতাজ বেপারির এক লাখ ৪২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এ ছাড়া অপর ব্যবসায়ীদের সব টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।’

আটককৃত ট্রলারচালক মো. রুবেল বলেন, ‘ডাকাতরা আমার হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করায় আহত হই। পরে আমার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এরপর ট্রলারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সব টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জেএম সিরাজুল কবির বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই আমরা। ডাকাতদলকে ধাওয়া করে কাঁঠালবাড়ি ঘাট পর্যন্ত নিয়ে যাই। এরপর কাঁঠালবাড়ি ঘাট নৌ-পুলিশ অভিযানে অংশ নেয়। মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহির স্পিডবোট নিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করেছিল। কিন্তু স্পিডবোট ফেলে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা যায়নি। তবে স্পিডবোট থেকে তিনটি পাইপগান জব্দ করা হয়েছে। অভিযান এখনও অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রলারচালককে আটক করা হয়েছে।