ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগ নেতা সবুজ হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পশু চিকিৎসক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
  • ৩৬২৭ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শেখ সুমন সবুজ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত পশু চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক চৌধুরী মো. মাহবুবুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গ্রেফতার গোলাম মোস্তফা (৩৪) সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের গোপালবাড়ি গ্রামের দিরাজ আলী শেখের ছেলে। পেশায় একজন পশু চিকিৎসক।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামান শিকদার বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সব কিছু মোস্তফা জানেন। যে অস্ত্র দিয়ে সবুজকে গুলি করা হয়েছে সেই অস্ত্রটি সোহেল নামের এক ব্যক্তি নিপু নামের এক ব্যক্তিকে দিয়েছিলেন। নিপু সেটি আবার মোস্তাফার কাছে রাখেন। পরে মোস্তফার কাছ থেকে অস্ত্রটি নিয়ে সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। মোস্তফা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারপ্ল্যানের সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, গতকাল দুপুর ১টার দিকে মোস্তফাকে আদালতে তোলা হয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে তাকে আদালত থেকে বের করা হয়। এরপর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে নিহত সবুজের বাবা অজ্ঞাতনামা ৪০/৪৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে বুধবার আদালতে পাঠানো হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, নিহত শেখ সুমন সবুজ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি পদ্মা নদীর পাড়ে উড়াকান্দায় বালুর চাতালের ব্যবসা ও গল্পগৃহ রিসোর্টে বিভিন্ন রাইডসের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

গত রবিবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা সবুজকে গুলি করে। পরে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত সবুজের বাবা শামসুল আলম শেখ বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

রাজবাড়ীর পাংশায় প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থা কতৃক আয়োজিত ঈদ পূর্ণমিলন

ছাত্রলীগ নেতা সবুজ হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পশু চিকিৎসক

আপডেট সময় ১২:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শেখ সুমন সবুজ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত পশু চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক চৌধুরী মো. মাহবুবুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গ্রেফতার গোলাম মোস্তফা (৩৪) সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের গোপালবাড়ি গ্রামের দিরাজ আলী শেখের ছেলে। পেশায় একজন পশু চিকিৎসক।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামান শিকদার বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সব কিছু মোস্তফা জানেন। যে অস্ত্র দিয়ে সবুজকে গুলি করা হয়েছে সেই অস্ত্রটি সোহেল নামের এক ব্যক্তি নিপু নামের এক ব্যক্তিকে দিয়েছিলেন। নিপু সেটি আবার মোস্তাফার কাছে রাখেন। পরে মোস্তফার কাছ থেকে অস্ত্রটি নিয়ে সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। মোস্তফা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারপ্ল্যানের সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, গতকাল দুপুর ১টার দিকে মোস্তফাকে আদালতে তোলা হয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে তাকে আদালত থেকে বের করা হয়। এরপর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে নিহত সবুজের বাবা অজ্ঞাতনামা ৪০/৪৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে বুধবার আদালতে পাঠানো হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, নিহত শেখ সুমন সবুজ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি পদ্মা নদীর পাড়ে উড়াকান্দায় বালুর চাতালের ব্যবসা ও গল্পগৃহ রিসোর্টে বিভিন্ন রাইডসের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

গত রবিবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা সবুজকে গুলি করে। পরে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত সবুজের বাবা শামসুল আলম শেখ বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন।