ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারী আসামি গ্রেফতার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৫২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারী আসামি মিলন সিকদার ওরফে চোপা মিলনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর কোতোয়ালি থানার নবাবপুর এলাকার চাঞ্চল্যকর রজব আলী হত্যা মামলার আসামী মিলনকে র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় গ্রেফতার করেছে নলছিটি থানা পুলিশ। ২০১৯ সালের পহেলা আগষ্ট মিলকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সেই থেকেই পলাতক ছিলো মিলন সিকদার।

মামলার রায়ের সারে তিন বছর পর ধরা পরলো মিলন। চলতি বছরের পহেলা এপ্রিল শনিবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় নলছিটি থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক এনামুল হাসানের নেতৃত্ব অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় নলছিটি উপজেলার চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান সিকদারের ছেলে ৩৮ বছর বয়স মিলন সিকদারকে।

২০১১ সালের জুন মাসে রাজধানীর কোতয়ালী থানায় রজব আলী হত্যার অভিযোগ এনে এজাহার দিয়েছিলেন নিহতের ভাই জুম্মান আলী। মামলার এজাহারে বাদি জুম্মান লিখেছেন, “আসামি মিলন ও রজব দুজনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তারা দুজনেই মাদক সেবনে আসক্ত ছিল। সঙ্গীদের নিয়ে মাদক সেবন করতে গেলে হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় রজব তার সঙ্গী সজিবের মোবাইল ফোন বন্দক রেখে টাকা সংগ্রহ করে সকলে মিলে দল বেধে মাদক সেবন করে। এদিকে জামানতের ঐ টাকা পরিশোধ না করেই বন্দক রাখা মোবাইলটি ফেরত আনতে যায় সজীব। এ নিয়ে মুল ঝামেলা সৃষ্টি হয়।

মোবাইল ফোন ছারাতে না পারায় রজব আলীকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে রাজধানীর রায়সাহেব পাড়া এলাকার জিকু, মিলন সিকদার, আব্দুর রহিম আরিফ, আবু বক্কর সিদ্দিক, মন্টি, রাসেল, ফরহাদ, সজিব খান, শাহীন এবং বাবু হাওলাদার।”

মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয় যে, “২০১১ সালের ২৪ জুলাই রাতে রাজধানীর নবাবপুর রোডে মোবাইলের দোকানে রজব আলী টাকা রিচার্জ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জিকুসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন মিলে রজব আলীকে ঢাকা জজ আদালতের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে ওৎপেতে থাকা মিলন, রাসেল, ফরহাদ, সজিব, খাদেমসহ সকলে মিলে রজব আলীর বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়।রজবের চিৎকারে লোকজন এসে হাসাপাতালে নিয়ে যায়। ততক্ষনে রজবের মৃত্যু হয়।”

ঘটনার পরের বছর ২০১২ সালে ০৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৩ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বিচারক জিকু, আরিফ এবং আবু বক্কর সিদ্দিককে মৃত্যুদন্ড এবং মিলনসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

রায় ঘোষনার পর থেকে যাবজ্জীবন দন্ড মাথায় নিয়ে সারে ৩ বছর পালিয়ে থাকা মিলন সিকদারকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান।

ওসি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাবের সহযোগীতায় শনিবার রাতে মিলন কে গ্রেফতার করে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি আনা হয়। রোববার দুপুরেই আদালত মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

ঝালকাঠিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারী আসামি গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৬:৫২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারী আসামি মিলন সিকদার ওরফে চোপা মিলনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

রাজধানীর কোতোয়ালি থানার নবাবপুর এলাকার চাঞ্চল্যকর রজব আলী হত্যা মামলার আসামী মিলনকে র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় গ্রেফতার করেছে নলছিটি থানা পুলিশ। ২০১৯ সালের পহেলা আগষ্ট মিলকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সেই থেকেই পলাতক ছিলো মিলন সিকদার।

মামলার রায়ের সারে তিন বছর পর ধরা পরলো মিলন। চলতি বছরের পহেলা এপ্রিল শনিবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় নলছিটি থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক এনামুল হাসানের নেতৃত্ব অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় নলছিটি উপজেলার চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান সিকদারের ছেলে ৩৮ বছর বয়স মিলন সিকদারকে।

২০১১ সালের জুন মাসে রাজধানীর কোতয়ালী থানায় রজব আলী হত্যার অভিযোগ এনে এজাহার দিয়েছিলেন নিহতের ভাই জুম্মান আলী। মামলার এজাহারে বাদি জুম্মান লিখেছেন, “আসামি মিলন ও রজব দুজনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। তারা দুজনেই মাদক সেবনে আসক্ত ছিল। সঙ্গীদের নিয়ে মাদক সেবন করতে গেলে হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় রজব তার সঙ্গী সজিবের মোবাইল ফোন বন্দক রেখে টাকা সংগ্রহ করে সকলে মিলে দল বেধে মাদক সেবন করে। এদিকে জামানতের ঐ টাকা পরিশোধ না করেই বন্দক রাখা মোবাইলটি ফেরত আনতে যায় সজীব। এ নিয়ে মুল ঝামেলা সৃষ্টি হয়।

মোবাইল ফোন ছারাতে না পারায় রজব আলীকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে রাজধানীর রায়সাহেব পাড়া এলাকার জিকু, মিলন সিকদার, আব্দুর রহিম আরিফ, আবু বক্কর সিদ্দিক, মন্টি, রাসেল, ফরহাদ, সজিব খান, শাহীন এবং বাবু হাওলাদার।”

মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয় যে, “২০১১ সালের ২৪ জুলাই রাতে রাজধানীর নবাবপুর রোডে মোবাইলের দোকানে রজব আলী টাকা রিচার্জ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জিকুসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন মিলে রজব আলীকে ঢাকা জজ আদালতের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে ওৎপেতে থাকা মিলন, রাসেল, ফরহাদ, সজিব, খাদেমসহ সকলে মিলে রজব আলীর বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে চলে যায়।রজবের চিৎকারে লোকজন এসে হাসাপাতালে নিয়ে যায়। ততক্ষনে রজবের মৃত্যু হয়।”

ঘটনার পরের বছর ২০১২ সালে ০৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৩ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে ২০১৯ সালের ১ আগস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বিচারক জিকু, আরিফ এবং আবু বক্কর সিদ্দিককে মৃত্যুদন্ড এবং মিলনসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।

রায় ঘোষনার পর থেকে যাবজ্জীবন দন্ড মাথায় নিয়ে সারে ৩ বছর পালিয়ে থাকা মিলন সিকদারকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান।

ওসি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাবের সহযোগীতায় শনিবার রাতে মিলন কে গ্রেফতার করে ঢাকা থেকে ঝালকাঠি আনা হয়। রোববার দুপুরেই আদালত মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ।