ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফসলি জমিতে ঘাস কাটায় ছাত্রের গলা কাটার অভিযোগ জমির মালিকের বিরুদ্ধে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

আলামিন হোসেন শাকির

রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর পাংশায় সরিষা ক্ষেতে ঘাস কাটায় দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ রিফাত (১৫) কে গলা কাটলেন জমির মালিক হাফিজ উদ্দিন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের পদ্মা নদীর চড়ে।

ভুক্তভোগীর ছাত্রের বাবা মন্টু বলেন, গত ৮ই ফেব্রুয়ারি বিকেলে আমার ছেলে রিফাত ছাগলের ঘাস কাটার জন্য নদীর চড়ে হাফিজের জমিতে যায় এবং সে এক মুঠো ঘাস কাটে। পরে ঘাস কাটার অপরাধে হাফিজ উদ্দিন এসে আমার ছেলের হাত থেকে কাচি কেরে নিয়ে রিফাতের গলার বাম পাশে পৌচ দেয়। সাথে সাথে গলা কেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে তারা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে খবর দিয়ে পদ্মার চড়ে নিয়ে যায় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এ সময় রিফাতের গলায় ১৪টি সেলাই দেওয়া হয় । চিকিৎসা শেষে আমার ছেলে রিফাতকে আমার বাড়ীর পাশে রেখে যায় ও তাকে ঘটনার বর্ণনা কাউকে না জানাতে নিষেধ করে। ঘটনার বিষয় কাউকে বললে খুন করে ফেলবো মর্মে হুমকি দেয় হাফিজ উদ্দিন।

তিনি আরো বলেন, আমার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা তাকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করি। সেখানে তার গলায় আরো দুটি সেলাই দেওয়া হয়। পরে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি পাংশা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন।

পাংশা মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর সাদিকুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামি পলাতক থাকায়। তাকে আটক করা যায়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

ফসলি জমিতে ঘাস কাটায় ছাত্রের গলা কাটার অভিযোগ জমির মালিকের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০৬:০৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আলামিন হোসেন শাকির

রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীর পাংশায় সরিষা ক্ষেতে ঘাস কাটায় দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ রিফাত (১৫) কে গলা কাটলেন জমির মালিক হাফিজ উদ্দিন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের পদ্মা নদীর চড়ে।

ভুক্তভোগীর ছাত্রের বাবা মন্টু বলেন, গত ৮ই ফেব্রুয়ারি বিকেলে আমার ছেলে রিফাত ছাগলের ঘাস কাটার জন্য নদীর চড়ে হাফিজের জমিতে যায় এবং সে এক মুঠো ঘাস কাটে। পরে ঘাস কাটার অপরাধে হাফিজ উদ্দিন এসে আমার ছেলের হাত থেকে কাচি কেরে নিয়ে রিফাতের গলার বাম পাশে পৌচ দেয়। সাথে সাথে গলা কেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে তারা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসককে খবর দিয়ে পদ্মার চড়ে নিয়ে যায় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এ সময় রিফাতের গলায় ১৪টি সেলাই দেওয়া হয় । চিকিৎসা শেষে আমার ছেলে রিফাতকে আমার বাড়ীর পাশে রেখে যায় ও তাকে ঘটনার বর্ণনা কাউকে না জানাতে নিষেধ করে। ঘটনার বিষয় কাউকে বললে খুন করে ফেলবো মর্মে হুমকি দেয় হাফিজ উদ্দিন।

তিনি আরো বলেন, আমার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরা তাকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করি। সেখানে তার গলায় আরো দুটি সেলাই দেওয়া হয়। পরে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি পাংশা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন।

পাংশা মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর সাদিকুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামি পলাতক থাকায়। তাকে আটক করা যায়নি।