ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন রাজবাড়ী জেলার প্রকৌশলী যুবক দীপক রায়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

সোহেল রানা চৌধুরী, রাজবাড়ী,

শান্তির ধর্ম ইসলামের রীতিনীতি, ধর্মীয় সংস্কৃতি ও মুসলমানদের আচার-আচরনে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন দীপক রায় (৩০) নামে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার সনাতন ধর্মের এক যুবক। তার বর্তমান নাম মোহাম্মদ আলী।

মোহাম্মদ আলী উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দৌলতদিয়া সিরাজ খাঁর হাট এলাকার দূর্গা রায়ের পুত্র।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারী) সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উমরাহ হজ্জ পালনের দুটি ছবি পোষ্ট করে ‘ইন্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী খান’ নামে তার ফেসবুক আইডি হতে তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বহু বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী তাকে দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন।

নব মুসলিম মোহাম্মদ আলী তার পোষ্টে উল্লেখ করেন, ছোটবেলা থেকেই মুসলমান বন্ধুদের সাথে তার খেলাখুলা, লেখাপড়াসহ বরড়ে ওঠা। ওদের সকল ইসলামিক রীতি-নীতি আমার সর্বদা ভালো লাগত। বিশেষ করে দিনে ৫ ওয়াক্ত আজান আমাকে মুগ্ধ করত।

আজানের সময় আমি সব কাজ বাদ দিয়ে মন দিয়ে আজানের ধ্বনি শুনতাম। একদিন পাশের গ্রামের এক ওয়াজ মাহফিলে যাই। সেখানে হুজুরের বয়ান শুনে আমার চোখে পনি এসে যায়। পরবর্তীতে আমি বিশ্ব নবী (সঃ) এর জীবন আদর্শ ও ধর্মীয় রীতি নীতি, বৈষম্যমুক্ত ব্যাবস্থা ও নারীদের পর্দার বিষয়টি আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিশ্বাস করি একজন পর্দানশীল নারী অন্য পুরুষের দৃষ্টি থেকে সর্বদাই নিরাপদ থাকেন। এছাড়া ইসলামী বিভিন্ন বই পড়ে আমি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে কয়েকবছর আগে সম্পূর্ণ সুস্থ্য মস্তিষ্কে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি। তবে বিষয়টি এতদিন সেভাবে কাউকে জানাই নি।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, প্রায় ১৪ মাস আগে তিনি সিলেটের একজন মুসলিম নারীকে বিবাহ করে সংসার জীবন শুরু করেন। তার কয়েকমাস পর বহুদিনের স্বপ্ন পূরনে পবিত্র ওমরাহ হজ্জ পালনের জন্য সৌদি আরবে আসেন। ওমরাহ পালনের পর মক্কায় তার এক বন্ধুর একটি সুপার শপে চাকরি নেন।বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন।সৌদি সরকারও তাকে অবস্হানের জন্য বৈধতা দিয়েছেন। এর আগে দেশে প্রকৌশল বিদ্যায় লেখাপড়া শেষ করে তিনি সাভারে একটি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন চাকরি করেন।

তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রী দেশে অবস্থান করছেন। তিনি সন্তান সম্ভবা। আমি আমার অনাগত সন্তান ও আমাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।

রাজবাড়ীর পাংশায় প্রান্তিক জনকল্যাণ সংস্থা কতৃক আয়োজিত ঈদ পূর্ণমিলন

ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন রাজবাড়ী জেলার প্রকৌশলী যুবক দীপক রায়

আপডেট সময় ০৪:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

সোহেল রানা চৌধুরী, রাজবাড়ী,

শান্তির ধর্ম ইসলামের রীতিনীতি, ধর্মীয় সংস্কৃতি ও মুসলমানদের আচার-আচরনে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন দীপক রায় (৩০) নামে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার সনাতন ধর্মের এক যুবক। তার বর্তমান নাম মোহাম্মদ আলী।

মোহাম্মদ আলী উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দৌলতদিয়া সিরাজ খাঁর হাট এলাকার দূর্গা রায়ের পুত্র।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারী) সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উমরাহ হজ্জ পালনের দুটি ছবি পোষ্ট করে ‘ইন্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী খান’ নামে তার ফেসবুক আইডি হতে তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বহু বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষী তাকে দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন।

নব মুসলিম মোহাম্মদ আলী তার পোষ্টে উল্লেখ করেন, ছোটবেলা থেকেই মুসলমান বন্ধুদের সাথে তার খেলাখুলা, লেখাপড়াসহ বরড়ে ওঠা। ওদের সকল ইসলামিক রীতি-নীতি আমার সর্বদা ভালো লাগত। বিশেষ করে দিনে ৫ ওয়াক্ত আজান আমাকে মুগ্ধ করত।

আজানের সময় আমি সব কাজ বাদ দিয়ে মন দিয়ে আজানের ধ্বনি শুনতাম। একদিন পাশের গ্রামের এক ওয়াজ মাহফিলে যাই। সেখানে হুজুরের বয়ান শুনে আমার চোখে পনি এসে যায়। পরবর্তীতে আমি বিশ্ব নবী (সঃ) এর জীবন আদর্শ ও ধর্মীয় রীতি নীতি, বৈষম্যমুক্ত ব্যাবস্থা ও নারীদের পর্দার বিষয়টি আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিশ্বাস করি একজন পর্দানশীল নারী অন্য পুরুষের দৃষ্টি থেকে সর্বদাই নিরাপদ থাকেন। এছাড়া ইসলামী বিভিন্ন বই পড়ে আমি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে কয়েকবছর আগে সম্পূর্ণ সুস্থ্য মস্তিষ্কে আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি। তবে বিষয়টি এতদিন সেভাবে কাউকে জানাই নি।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলী মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, প্রায় ১৪ মাস আগে তিনি সিলেটের একজন মুসলিম নারীকে বিবাহ করে সংসার জীবন শুরু করেন। তার কয়েকমাস পর বহুদিনের স্বপ্ন পূরনে পবিত্র ওমরাহ হজ্জ পালনের জন্য সৌদি আরবে আসেন। ওমরাহ পালনের পর মক্কায় তার এক বন্ধুর একটি সুপার শপে চাকরি নেন।বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন।সৌদি সরকারও তাকে অবস্হানের জন্য বৈধতা দিয়েছেন। এর আগে দেশে প্রকৌশল বিদ্যায় লেখাপড়া শেষ করে তিনি সাভারে একটি প্রতিষ্ঠানে বেশ কিছুদিন চাকরি করেন।

তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রী দেশে অবস্থান করছেন। তিনি সন্তান সম্ভবা। আমি আমার অনাগত সন্তান ও আমাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।