ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝালকাঠিতে ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কস এর পরিচালক মো শামীম আহম্মেদের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর ও কোম্পানির ম্যানেজারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে শহরের পূর্ব কাঠপট্টি এলাকার শাহী মহলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছোট ভাই মো. আরিফুল হক সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শামীম আহম্মেদ গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাঁরা ওই এলাকার মৃত হাজী শাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সাবিহা কেমিক্যালস ওয়ার্কস এর উৎপাদিত শাহী স্পেশাল জাফরানী জর্দা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে বাজারজাত করা হয়। এরমধ্যে আদি সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কস এর মালিক হচ্ছেন বড় ভাই মো. সামছুল হক মনু। তার সাথে আছেন ছোট ভাই মো আরিফুল হক। অপরদিকে সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কস এর উৎপাদিত জর্দা বাজারজাত করেন শামীম আহমেদ। তার সাথে আছেন অপর ছোট ভাই রাজিবুল হক। এ ঘটনায় দুলাল খলিফা ও আসাদুজ্জামান জামাল নামে অপর দুই জনকে আসামি করা হয়েছে।

থানায় লিখিত অভিযোগ আরিফুল হক উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত, মো শামীম আহম্মেদ আমার বড় ভাই। তার সাথে আমার পূর্ব হইতে ব্যবসায়ীক বিভিন্ন বিষয় নিয়া বিরোধ চলিয়া আসিতেছে বিরোধের জের ধরিয়া ১নং আসামী প্রায়ই আমাকে মারধর করাসহ আমার ক্ষয়ক্ষতি করার পায়তারা করিয়া আসিতেছে। আমাদের বড় ভাই সামসুল হক মনু এর বাড়ির পিছনে দ্বিতীয় তলায় আমাদের ব্যবসায়ীক অফিস আছে। ঘটনার দিন ২৯ ডিসেম্বর বেলা অনুমান ১১:৪৫ মিনিটে ঝালকাঠী থানাধীন পূর্ব কাঠপট্টি এলাকায় বড় ভাই সামসুল হক মনু এর শাহী মহল নামক বাড়ির সামনে গেইটের মধ্যে আসামী শামীম আহম্মেদ আমার ম্যানেজার ১নং সাক্ষী মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখিতে পাইয়া তাহার নিকট ১০ লক্ষ টাকা চায়। ১নং সাক্ষী টাকা দিতে অস্বীকার করিলে আসামী শামীম ক্ষিপ্ত হইয়া ১নং সাক্ষীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। একপর্যায়ে আগামী শামীম আহম্মেদ ক্ষিপ্ত হইয়া তাহার ব্যবহৃত পিস্তল দিয়া সাক্ষী মিঠুন চক্রবর্তীকে খুন করার হুমকি প্রদান করে। আসামী শামীম আহম্মেদ ঘটনাস্থলের পাশে থাকা আমার ব্যবহৃত হেরিয়ার এইচইউভি গাড়ি যাহার মূল্য ৭৫. (পঁচাত্তর লক্ষ) টাকা দামের গাড়িটির সামনে গ্লাস পাথর দিয়া ভাংচুর করিয়া অনুমান ৫,০০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে। ১নং সাক্ষী গাড়ির গ্লাস ভাঙ্গতে বাধা প্রদান করিলে আসামী শামীম আহম্মেদ তাহার হাতে থাকা পাথর দিয়া সাক্ষী মিঠুন চক্রবর্তীর মাথায় আঘাত করিয়া গুরুতর জখম করে। আসামী দুলাল খলিফা ও আসামী আসাদুজ্জামান জামাল ঘটনাস্থলের পাশে উপস্থিত থাকিয়া উক্ত ঘটনা ঘটাইতে উসকানি দেখ সকল আসামীরা ১নং সাক্ষীকে বলে তুই টাকা দিলি না তোকে পরবর্তীতে পাইলে খুন জখম করিব বলিয়া হুমকি দিয়া চলিয়া যাওয়ার সময় আমার ব্যবসায়ীক অফিসে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া ড্রয়ারের তালা ভাঙ্গিয়া নগদ ৭,০০০০০/- (সাত লক্ষ) টাকা নিয়া যায়। এছাড়াও আসামী শামীম আহম্মেদ আমার মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে এসএমএস দিয়া হুমকি দেয় যে, সে রাতে আমার বাড়িতে হামলা করিবে। স্থানীয় লোকজন ১নং সাক্ষীকে অসুস্থ অবস্থায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করে। ১নং সাক্ষী মিঠুন চক্রবর্তী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমি ঘটনার সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে গিয়া বিস্তারিত দেখি এবং ১নং সাক্ষীর নিকট হইতে বিস্তারিত ঘটনার বিষয় জানিয় আমার আত্মীয় স্বজন ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের জনাইয়া থানায় এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল ।
এ বিষয় বারবার চেষ্টা করেও শামিম আহ্মেদ বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় আওয়ামীলীগ নেতার দরিদ্রদের মাঝেশাড়ী ও লুঙ্গী বিতরণ

ঝালকাঠিতে ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কস এর পরিচালক মো শামীম আহম্মেদের বিরুদ্ধে ছোট ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর ও কোম্পানির ম্যানেজারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে শহরের পূর্ব কাঠপট্টি এলাকার শাহী মহলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছোট ভাই মো. আরিফুল হক সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শামীম আহম্মেদ গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাঁরা ওই এলাকার মৃত হাজী শাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সাবিহা কেমিক্যালস ওয়ার্কস এর উৎপাদিত শাহী স্পেশাল জাফরানী জর্দা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে বাজারজাত করা হয়। এরমধ্যে আদি সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কস এর মালিক হচ্ছেন বড় ভাই মো. সামছুল হক মনু। তার সাথে আছেন ছোট ভাই মো আরিফুল হক। অপরদিকে সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কস এর উৎপাদিত জর্দা বাজারজাত করেন শামীম আহমেদ। তার সাথে আছেন অপর ছোট ভাই রাজিবুল হক। এ ঘটনায় দুলাল খলিফা ও আসাদুজ্জামান জামাল নামে অপর দুই জনকে আসামি করা হয়েছে।

থানায় লিখিত অভিযোগ আরিফুল হক উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত, মো শামীম আহম্মেদ আমার বড় ভাই। তার সাথে আমার পূর্ব হইতে ব্যবসায়ীক বিভিন্ন বিষয় নিয়া বিরোধ চলিয়া আসিতেছে বিরোধের জের ধরিয়া ১নং আসামী প্রায়ই আমাকে মারধর করাসহ আমার ক্ষয়ক্ষতি করার পায়তারা করিয়া আসিতেছে। আমাদের বড় ভাই সামসুল হক মনু এর বাড়ির পিছনে দ্বিতীয় তলায় আমাদের ব্যবসায়ীক অফিস আছে। ঘটনার দিন ২৯ ডিসেম্বর বেলা অনুমান ১১:৪৫ মিনিটে ঝালকাঠী থানাধীন পূর্ব কাঠপট্টি এলাকায় বড় ভাই সামসুল হক মনু এর শাহী মহল নামক বাড়ির সামনে গেইটের মধ্যে আসামী শামীম আহম্মেদ আমার ম্যানেজার ১নং সাক্ষী মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখিতে পাইয়া তাহার নিকট ১০ লক্ষ টাকা চায়। ১নং সাক্ষী টাকা দিতে অস্বীকার করিলে আসামী শামীম ক্ষিপ্ত হইয়া ১নং সাক্ষীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। একপর্যায়ে আগামী শামীম আহম্মেদ ক্ষিপ্ত হইয়া তাহার ব্যবহৃত পিস্তল দিয়া সাক্ষী মিঠুন চক্রবর্তীকে খুন করার হুমকি প্রদান করে। আসামী শামীম আহম্মেদ ঘটনাস্থলের পাশে থাকা আমার ব্যবহৃত হেরিয়ার এইচইউভি গাড়ি যাহার মূল্য ৭৫. (পঁচাত্তর লক্ষ) টাকা দামের গাড়িটির সামনে গ্লাস পাথর দিয়া ভাংচুর করিয়া অনুমান ৫,০০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে। ১নং সাক্ষী গাড়ির গ্লাস ভাঙ্গতে বাধা প্রদান করিলে আসামী শামীম আহম্মেদ তাহার হাতে থাকা পাথর দিয়া সাক্ষী মিঠুন চক্রবর্তীর মাথায় আঘাত করিয়া গুরুতর জখম করে। আসামী দুলাল খলিফা ও আসামী আসাদুজ্জামান জামাল ঘটনাস্থলের পাশে উপস্থিত থাকিয়া উক্ত ঘটনা ঘটাইতে উসকানি দেখ সকল আসামীরা ১নং সাক্ষীকে বলে তুই টাকা দিলি না তোকে পরবর্তীতে পাইলে খুন জখম করিব বলিয়া হুমকি দিয়া চলিয়া যাওয়ার সময় আমার ব্যবসায়ীক অফিসে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া ড্রয়ারের তালা ভাঙ্গিয়া নগদ ৭,০০০০০/- (সাত লক্ষ) টাকা নিয়া যায়। এছাড়াও আসামী শামীম আহম্মেদ আমার মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে এসএমএস দিয়া হুমকি দেয় যে, সে রাতে আমার বাড়িতে হামলা করিবে। স্থানীয় লোকজন ১নং সাক্ষীকে অসুস্থ অবস্থায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করে। ১নং সাক্ষী মিঠুন চক্রবর্তী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমি ঘটনার সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে গিয়া বিস্তারিত দেখি এবং ১নং সাক্ষীর নিকট হইতে বিস্তারিত ঘটনার বিষয় জানিয় আমার আত্মীয় স্বজন ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের জনাইয়া থানায় এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল ।
এ বিষয় বারবার চেষ্টা করেও শামিম আহ্মেদ বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি।