ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র প্রাপ্ত ::
Logo গাজীপুর সিটি করপোরশন ৪৮০ কেন্দ্রের ফলাফল Logo রাজবাড়ীতে মৎস্য কার্ডের চাল না পাওয়ায় মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন Logo ঝালকাঠিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহী যুবকের Logo রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে অস্ত্র-গুলিসহ আটক ১ Logo রাজবাড়ীতে ৪১ জনের নামসহ বিএনপির ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির বিরুদ্ধে Logo রাজবাড়ীতে সাংবাদিক পরিচয়ধারী ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার Logo রাজবাড়ীতে ডিবির অভিযানে নগদ টাকা ও গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ৩ Logo ঝালকাঠি সাবিহা কেমিক্যালসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো শামীম আহম্মেদ কারাগারে Logo গোয়ালন্দে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহীন হিরোইন ও ইয়াবা সহ আটক

মাদক দিয়ে ফাঁসাতে ব্যর্থ হয়ে দুই কলেজছাত্র পেটালেন ২ পুলিশ সদস্য

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে দুই কলেজ ছাত্রকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে দুই কলেজছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে হরিরামপুর থানার দুই পুলিশ সদস্য ও পুলিশের এক সোর্স এবং ওসির ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচ টার দিকে হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক খালপাড় পদ্মা নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, হরিরামপুর থানা ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলামের বাসার কাজের লোক মাসুদ এবং আন্ধারমানিক গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মামুন গাঁজা দিয়ে পুলিশের সহায়তায় দুই শিক্ষার্থীকে আটকের চেষ্টা করে।

এ সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী প্রবাসী আক্কাস আলীর ছেলে ফয়সাল আহমেদ এবং দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী পিয়াজচর গ্রামের নৈমদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন প্রতিবাদ করলে মাসুদ ও মামুন মারধর করে এবং পুলিশ সদস্য জব্বার ও লতিফকে ডেকে আনে।

এ সময় পুলিশ সদস্য জব্বার জব্বার কলেজছাত্র নিজাম উদ্দিনকে লাথি কিল ঘুষি এবং বাঁশ দিয়ে মারধর করে। এছাড়া পুলিশের অপর সদস্য লতিফ আরেক কলেজছাত্র ফয়সালকে মারধর করে। নিজাম ও ফয়সালকে হাতকরা পড়িয়ে থানায় নেয়ার চেষ্টাও করে তারা। স্থানীয়রা আহত নিজামকে উদ্ধার করে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য আবদুল হক বলেন, আন্ধারমানিক পদ্মাপাড়ে ওসির ব্যক্তিগত কাজের লোক মাসুদ এবং স্থানীয় মামুন নামের যুবক দুইজন ছাত্রকে মারধর করে। পরে পুলিশ সদস্য জব্বারসহ দুজন এসে নিজাম ও ফয়সাল নামে দুই ছাত্রকে মারধর করে।

প্রত্যক্ষদর্শী জয়নালের স্ত্রী বলেন, এলাকার দুইডা ভাল পোলারে গাঁজা দিয়ে পুলিশে দিতে চায় মাসুদ ও মামুন। ওই দুই পোলা নিজাম ও ফয়সাল প্রতিবাদ করলে পুলিশ আইসা নিজাম ও ফয়সালরে মারছে। নিজামরে মাইরা জিহ্বা বাইর করইা ফালাইছে।

হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুসা জানান, আহত অবস্থায় নিজাম নামের এক যুবক হাসপাতালে আসে। আঘাতের ফলে তার প্রচুর শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। তাকে অক্সিজেন দেই। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন, পুলিশের সোর্স মাসুদ গাঁজা দিয়ে দুইজন ভাল ছেলেকে ফাঁসাতে না পেরে ব্যপক মারধর করেছে। মাসুদ থানার বাজারও করে। সাথে মামুন নামের একজন ছিলো। ওসির বডিগার্ড জব্বার ও লতিফ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থীকে ব্যাপক মারধর করেছে। আমরা এর বিচার চাই।

হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, পুলিশ দুজন শিক্ষার্থীকে বেধরক পিটিয়েছে। যা দুঃখ জনক। এসপি মহোদয়কে জানিয়েছি। এর বিচার হতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলামের মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরের মধুখালীতে ৮ বছরের শিশু ছাত্রকে গলাটিপে হত্যা করলো শিক্ষক

মাদক দিয়ে ফাঁসাতে ব্যর্থ হয়ে দুই কলেজছাত্র পেটালেন ২ পুলিশ সদস্য

আপডেট সময় ১০:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে দুই কলেজ ছাত্রকে গাঁজা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে দুই কলেজছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে হরিরামপুর থানার দুই পুলিশ সদস্য ও পুলিশের এক সোর্স এবং ওসির ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেল পাঁচ টার দিকে হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক খালপাড় পদ্মা নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, হরিরামপুর থানা ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলামের বাসার কাজের লোক মাসুদ এবং আন্ধারমানিক গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে মামুন গাঁজা দিয়ে পুলিশের সহায়তায় দুই শিক্ষার্থীকে আটকের চেষ্টা করে।

এ সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী প্রবাসী আক্কাস আলীর ছেলে ফয়সাল আহমেদ এবং দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী পিয়াজচর গ্রামের নৈমদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিন প্রতিবাদ করলে মাসুদ ও মামুন মারধর করে এবং পুলিশ সদস্য জব্বার ও লতিফকে ডেকে আনে।

এ সময় পুলিশ সদস্য জব্বার জব্বার কলেজছাত্র নিজাম উদ্দিনকে লাথি কিল ঘুষি এবং বাঁশ দিয়ে মারধর করে। এছাড়া পুলিশের অপর সদস্য লতিফ আরেক কলেজছাত্র ফয়সালকে মারধর করে। নিজাম ও ফয়সালকে হাতকরা পড়িয়ে থানায় নেয়ার চেষ্টাও করে তারা। স্থানীয়রা আহত নিজামকে উদ্ধার করে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য আবদুল হক বলেন, আন্ধারমানিক পদ্মাপাড়ে ওসির ব্যক্তিগত কাজের লোক মাসুদ এবং স্থানীয় মামুন নামের যুবক দুইজন ছাত্রকে মারধর করে। পরে পুলিশ সদস্য জব্বারসহ দুজন এসে নিজাম ও ফয়সাল নামে দুই ছাত্রকে মারধর করে।

প্রত্যক্ষদর্শী জয়নালের স্ত্রী বলেন, এলাকার দুইডা ভাল পোলারে গাঁজা দিয়ে পুলিশে দিতে চায় মাসুদ ও মামুন। ওই দুই পোলা নিজাম ও ফয়সাল প্রতিবাদ করলে পুলিশ আইসা নিজাম ও ফয়সালরে মারছে। নিজামরে মাইরা জিহ্বা বাইর করইা ফালাইছে।

হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুসা জানান, আহত অবস্থায় নিজাম নামের এক যুবক হাসপাতালে আসে। আঘাতের ফলে তার প্রচুর শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। তাকে অক্সিজেন দেই। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ বলেন, পুলিশের সোর্স মাসুদ গাঁজা দিয়ে দুইজন ভাল ছেলেকে ফাঁসাতে না পেরে ব্যপক মারধর করেছে। মাসুদ থানার বাজারও করে। সাথে মামুন নামের একজন ছিলো। ওসির বডিগার্ড জব্বার ও লতিফ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থীকে ব্যাপক মারধর করেছে। আমরা এর বিচার চাই।

হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, পুলিশ দুজন শিক্ষার্থীকে বেধরক পিটিয়েছে। যা দুঃখ জনক। এসপি মহোদয়কে জানিয়েছি। এর বিচার হতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলামের মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।