ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সরকারি ঘর ও ভাতা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

সরকারি ঘর ও ভাতা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

 

বয়স্ক ভাতার কার্ড ও সরকারি ঘর দেওয়ার আশ্বাসে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন অসহায় ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের (৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত নারী সদস্য নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ভুক্তভোগী অনেকেই প্রতিকার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, চন্দনী রাজবাড়ী সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের চন্দনী, হরিণধরা, আজুগরা এলাকার অসহায় ব্যক্তিদের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দুই-তিন বছর আগে টাকা নেন বর্তমান সংরক্ষিত নারী মেম্বার নার্গিস আক্তার। ওই সময় তিনি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়ার সঙ্গে থাকতেন। পরবর্তীকালে ২০২১ সালের (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচনে তিনি মহিলা মেম্বার নির্বাচিত হলেও ভুক্তভোগীরা এখনো কোনো কার্ড বা ঘর পাননি। সেইসঙ্গে ফেরত পাননি টাকাও।

চন্দনীর ইউনিয়নের ভ্যানচালকের স্ত্রী অনোয়ারা বেগম। তিনি ঘর ও প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ডের জন্য প্রায় দুই বছর আগে ৩২ হাজার ৫০০ টাকা দেন মেম্বার নার্গিসের হাতে। এর মধ্যে ১৫ হাজার টাকার সুদ তিনি এখনো টানছেন। কিন্তু পাননি ঘর বা ভাতার কার্ড।

একই এলাকার অটোরিকশাচালক ইব্রাহিম মোল্লা। তিনি প্রায় তিন বছর আগে একটি ঘরের জন্য দিয়েছেন ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া ওই এলাকার নবীরুন নেছা বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য তিন হাজার, আলেয়া বেগম ৯ হাজার, মহিরুন পাঁচ হাজার, প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য অরুণা রায় পাঁচ হাজার, শাহানা পাঁচ হাজার, আছিয়া পাঁচ হাজারসহ অনেকেই সুবিধা পেতে টাকা দিয়েছেন। দু-একজন ছাড়া কেউ পাননি কোনো সুবিধা।

ভুক্তভোগী ইব্রাহিম মোল্লার অভিযোগ, তিনি ভাড়ায় ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালান। বাড়িতে ভালো একটি ঘর নেই। মহিলা মেম্বার নার্গিস ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ঘর দেওয়ার কথা বলে প্রায় দুই বছর আগে তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঘর দেননি। এখন টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করছেন। শুধু তিনি না, এরকম অনেকের কাছ থেকেই লোভ দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন তিনি। এখন উপায়ন্তর না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।

আনোয়ারা বেগম বলেন, প্রতিবন্ধী কার্ড ও সরকারি ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর আগে ৩২ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছে নার্গিস মেম্বার। এর মধ্যে ১৫ হাজার টাকা সুদের ওপর নিয়ে দিয়েছিলাম। এখন প্রতিমাসে ওই ১৫ হাজার টাকার জন্য দেড় হাজার করে টাকা সুদ দিতে হয়। কিন্তু ঘর, কার্ড বা টাকা কোনোটাই পাইনি। মেম্বারের কাছে গেলে নানা কথা শোনায়। যার কারণে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

চন্দনী এলাকার মো. জালাল মণ্ডলের অভিযোগ, তার মায়ের বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে এক বছর আগে তিন হাজার টাকা নেন নার্গিস। আজ পর্যন্ত কার্ড করে দেননি তিনি। পরে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে ওই মহিলা মেম্বারের স্বামী গিয়ে তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

শাহনাজ বেগম নামে এক নারী বলেন, একটা কার্ড হলে সংসার একটু ভালো চলবে। এই ভেবে প্রায় আড়াই বছর আগে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিলাম নার্গিসের হাতে। তখন তিনি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়ার সঙ্গে থাকতেন। যখন টাকা দিয়েছিলাম তখন তিনি মেম্বার ছিলেন না। গতবছর মেম্বার হয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্ড বা কিছুই করে দেননি। এখন টাকা চাইতে গেলে গলাবাজি করেন।

স্থানীয় মুন্না, দীপালিসহ কয়েকজন বলেন, চন্দনীর মহিলা মেম্বার হওয়ার আগেই নার্গিস বহু মানুষের কাছ থেকে সরকারি ঘরসহ বিভিন্ন ভাতা কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কাউকে সুবিধা দেননি। এখন ওই অসহায় ব্যক্তিরা টাকা চাইতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্তরা যেন টাকা ফেরত পায় সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্য নার্গিস আক্তার মুঠোফোনে বলেন, আপনি যা পারেন, তাই নিউজ করে দেন।

এসময় তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আপনি উপজেলায় আসেন, কথা বলি। আর টাকা কে নিয়েছে, সেসব তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে আছে এবং আমার এলাকার লোকজনও জানে।

চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রব বলেন, তার ইউপির নারী সদস্য নার্গিস আক্তার নির্বাচিত হওয়ার আগে এবং পরে সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনা ও সুবিধা দেওয়ার কথা বলে অসহায় ও দুস্থদের কাছ থেকে তিন থেকে ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। বিনিময়ে অসহায় ব্যক্তিরা কিছুই পাননি। পরে ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন নার্গিসের পেছনে ঘুরে কোনো সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে পরিষদে তার বিরুদ্ধে সাতজন লিখিতসহ অনেকে মৌখিকভাবে তার কাছে অভিযোগ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পাঠিয়েছি। তিনি যে নির্দেশনা দেবেন, সে আলোকে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তিনি এসব বিষয়ে নারী ইউপি সদস্যকে চাপ দেওয়াতে হয়তো তার বিরুদ্ধে আবোল-তাবোল বলছেন নার্গিস।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মার্জিয়া সুলতানা বলেন, চন্দনীর এক নারী মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রথমে মৌখিক ও পরে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারের অগ্রনায়ক মুফতি রুহুল আমিন মাহমুদী

সরকারি ঘর ও ভাতা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

সরকারি ঘর ও ভাতা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:১৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

 

বয়স্ক ভাতার কার্ড ও সরকারি ঘর দেওয়ার আশ্বাসে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন অসহায় ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের (৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) সংরক্ষিত নারী সদস্য নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ভুক্তভোগী অনেকেই প্রতিকার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, চন্দনী রাজবাড়ী সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের চন্দনী, হরিণধরা, আজুগরা এলাকার অসহায় ব্যক্তিদের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দুই-তিন বছর আগে টাকা নেন বর্তমান সংরক্ষিত নারী মেম্বার নার্গিস আক্তার। ওই সময় তিনি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়ার সঙ্গে থাকতেন। পরবর্তীকালে ২০২১ সালের (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচনে তিনি মহিলা মেম্বার নির্বাচিত হলেও ভুক্তভোগীরা এখনো কোনো কার্ড বা ঘর পাননি। সেইসঙ্গে ফেরত পাননি টাকাও।

চন্দনীর ইউনিয়নের ভ্যানচালকের স্ত্রী অনোয়ারা বেগম। তিনি ঘর ও প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ডের জন্য প্রায় দুই বছর আগে ৩২ হাজার ৫০০ টাকা দেন মেম্বার নার্গিসের হাতে। এর মধ্যে ১৫ হাজার টাকার সুদ তিনি এখনো টানছেন। কিন্তু পাননি ঘর বা ভাতার কার্ড।

একই এলাকার অটোরিকশাচালক ইব্রাহিম মোল্লা। তিনি প্রায় তিন বছর আগে একটি ঘরের জন্য দিয়েছেন ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া ওই এলাকার নবীরুন নেছা বয়স্ক ভাতা কার্ডের জন্য তিন হাজার, আলেয়া বেগম ৯ হাজার, মহিরুন পাঁচ হাজার, প্রতিবন্ধী কার্ডের জন্য অরুণা রায় পাঁচ হাজার, শাহানা পাঁচ হাজার, আছিয়া পাঁচ হাজারসহ অনেকেই সুবিধা পেতে টাকা দিয়েছেন। দু-একজন ছাড়া কেউ পাননি কোনো সুবিধা।

ভুক্তভোগী ইব্রাহিম মোল্লার অভিযোগ, তিনি ভাড়ায় ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালান। বাড়িতে ভালো একটি ঘর নেই। মহিলা মেম্বার নার্গিস ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ঘর দেওয়ার কথা বলে প্রায় দুই বছর আগে তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঘর দেননি। এখন টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করছেন। শুধু তিনি না, এরকম অনেকের কাছ থেকেই লোভ দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন তিনি। এখন উপায়ন্তর না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।

আনোয়ারা বেগম বলেন, প্রতিবন্ধী কার্ড ও সরকারি ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর আগে ৩২ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছে নার্গিস মেম্বার। এর মধ্যে ১৫ হাজার টাকা সুদের ওপর নিয়ে দিয়েছিলাম। এখন প্রতিমাসে ওই ১৫ হাজার টাকার জন্য দেড় হাজার করে টাকা সুদ দিতে হয়। কিন্তু ঘর, কার্ড বা টাকা কোনোটাই পাইনি। মেম্বারের কাছে গেলে নানা কথা শোনায়। যার কারণে চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

চন্দনী এলাকার মো. জালাল মণ্ডলের অভিযোগ, তার মায়ের বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে এক বছর আগে তিন হাজার টাকা নেন নার্গিস। আজ পর্যন্ত কার্ড করে দেননি তিনি। পরে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে ওই মহিলা মেম্বারের স্বামী গিয়ে তাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

শাহনাজ বেগম নামে এক নারী বলেন, একটা কার্ড হলে সংসার একটু ভালো চলবে। এই ভেবে প্রায় আড়াই বছর আগে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিলাম নার্গিসের হাতে। তখন তিনি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়ার সঙ্গে থাকতেন। যখন টাকা দিয়েছিলাম তখন তিনি মেম্বার ছিলেন না। গতবছর মেম্বার হয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্ড বা কিছুই করে দেননি। এখন টাকা চাইতে গেলে গলাবাজি করেন।

স্থানীয় মুন্না, দীপালিসহ কয়েকজন বলেন, চন্দনীর মহিলা মেম্বার হওয়ার আগেই নার্গিস বহু মানুষের কাছ থেকে সরকারি ঘরসহ বিভিন্ন ভাতা কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কাউকে সুবিধা দেননি। এখন ওই অসহায় ব্যক্তিরা টাকা চাইতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্তরা যেন টাকা ফেরত পায় সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্য নার্গিস আক্তার মুঠোফোনে বলেন, আপনি যা পারেন, তাই নিউজ করে দেন।

এসময় তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আপনি উপজেলায় আসেন, কথা বলি। আর টাকা কে নিয়েছে, সেসব তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে আছে এবং আমার এলাকার লোকজনও জানে।

চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রব বলেন, তার ইউপির নারী সদস্য নার্গিস আক্তার নির্বাচিত হওয়ার আগে এবং পরে সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনা ও সুবিধা দেওয়ার কথা বলে অসহায় ও দুস্থদের কাছ থেকে তিন থেকে ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। বিনিময়ে অসহায় ব্যক্তিরা কিছুই পাননি। পরে ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন নার্গিসের পেছনে ঘুরে কোনো সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে পরিষদে তার বিরুদ্ধে সাতজন লিখিতসহ অনেকে মৌখিকভাবে তার কাছে অভিযোগ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পাঠিয়েছি। তিনি যে নির্দেশনা দেবেন, সে আলোকে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। তিনি এসব বিষয়ে নারী ইউপি সদস্যকে চাপ দেওয়াতে হয়তো তার বিরুদ্ধে আবোল-তাবোল বলছেন নার্গিস।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মার্জিয়া সুলতানা বলেন, চন্দনীর এক নারী মেম্বারের বিরুদ্ধে প্রথমে মৌখিক ও পরে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।